রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

জাতীয় মহিলা কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে তৃণমূল কংগ্রেস

April 19, 2025 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধ না রেখে মুর্শিদাবাদ গিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের জাফরাবাদের অশান্ত এলাকার পরিদর্শনে জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যরা। আজ শনিবার বেতবোনায় মহিলা কমিশনের সদস্যরা পৌঁছন।

শুক্রবার প্রথমে বহরমপুরে যান মহিলা কমিশনের ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল। সেখান থেকে তাঁরা যান মালদায়। এরপর শনিবার কমিশনের প্রতিনিধি দল যান মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানে। মুর্শিদাবাদের অশান্ত এলাকায় যান জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যরা। সেখানকার স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন।

তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে কিছু লোক ঢুকিয়ে মুর্শিদাবাদে অশান্তি তৈরীর বিজেপির চেষ্টা ফাঁস হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তাতে কার্যত কোনও ফায়দা তুলতে পারেনি রাজ্য বিজেপি। এবার তাদের সাহায্য করতে পাঠানো হচ্ছে একের পর এক কেন্দ্রীয় এজেন্সি। বাংলাকে বদনাম করতে বিজেপির এজেন্সি প্রয়োগকে তীব্র কটাক্ষ রাজ্যের শাসকদলের। তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ দাবী করেন, মুর্শিদাবাদে পরিকল্পিত গন্ডগোল করানো হয়েছে। এই সময়ে স্বাভাবিকতা ফেরানো হচ্ছে, লোকে ঘরে ফিরছে। ক্ষতিপূরণ রাজ্য সরকার দিচ্ছে। এই সময়ে বাইরে থেকে লোক যাওয়া শুধু ছবি তোলার জন্য। ইচ্ছাকৃতভাবে খোঁচানোর জন্য, রাজনৈতিক ইস্যু তৈরি করার জন্য কমিশনের প্রতিনিধিরা আসছেন। তাঁরা রাজনৈতিক অ্যাসাইনমেন্টে এসেছেন। কারণ অন্য কোনও রাজ্যে এদের দেখা যায় না।

জাতীয় মহিলা কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সাগরিকা ঘোষও। তিনি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন। সেখানে লেখেন, এই সেই জাতীয় মহিলা কমিশন, যারা সন্দেশখালিতে মিথ্যা ধর্ষণের অভিযোগ তৈরি করার জন্য স্থানীয় মহিলাদের দিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছিল। এখন আবার বিজেপি’র নির্দেশে তাঁরা হাজির হয়েছেন মালদা ও মুর্শিদাবাদে। আমার প্রশ্ন এবারও কি সাদা কাগজ আসতে চলেছে?

তৃণমূলের IT সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্যও জাতীয় মহিলা কমিশনের বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর বক্তব্য যখন প্রমানিত ভিন দেশ, রাজ্য থেকে দুষ্কৃতিরা এসে মুর্শিদাবাদে হিংসা তৈরি করেছে, যার পেছনে বিজেপি’র পরিকল্পিত ভূমিকা রয়েছে, তখন মহিলা কমিশন ঘটনাস্থলে গিয়ে কুম্ভিরাশ্রু ফেলছে কেন। বাংলাকে বদনাম করতে এবং বিজেপি’কে সুবিধা করে দিতে এর আগেও বিভিন্ন অজুহাকতে এই কমিশন রাজ্যে এসেছে। কিন্তু তারা কী রিপোর্ট দিলেন এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা কেউ জানতে পারেনি। শুধু সংবাদমাধ্যমে তাঁদের ঘুরতে দেখা গেছে। উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি-সহ বিভিন্ন রাজ্যে নির্বাচনের আগে বিজেপি যেমন হিংসা ছড়িয়ে ফায়দা তোলার চেষ্টা করে, এখানেও তারা তাই করতে চাইছে। বাংলার মানুষ কিন্তু তাদের চাক্রান্তের বিষয়টি ধরে ফলেছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#tmc, #NCW, #Debangshu Bhattacharya, #Sagarika Ghose

আরো দেখুন