দিলীপ ঘোষের বিয়েতেও পিছু ছাড়ল না বঙ্গ BJP-র আদি-নব্য কোন্দল?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: নতুন জীবনে পা রেখেছেন বিজেপির দাপুটে নেতা দিলীপ ঘোষ। রিঙ্কু মজুমদারকে বিয়ে করেছেন তিনি। রাজনীতির ময়দানে দিলীপের উল্টোদিকে থাকা, তৃণমূলের সর্বময়নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রাও তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কিন্তু তাঁর নিজের দলের অনেকেই মুখ খোলেননি। বিয়ের মতো অনুষ্ঠানেও বিজেপির আদি-নব্য দ্বন্দ্ব রয়েই গেল!
বিয়ের দিন দিলীপ ঘোষের বাড়িতে সুকান্ত মজুমদার থেকে লকেট; একের পর এক আদি বিজেপি নেতারা হাজির হন এবং শুভেচ্ছা জানান। কিন্তু দেখা যায়নি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। শনিবার, বিয়ের ২৪ ঘণ্টা পর মুখ খোলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর মন্তব্য, “দল তো শুভেচ্ছা জানিয়েছে, আমি দলেরই একজন। আমি আলাদা করে কী বলব?” এনিয়ে শুভেন্দুকে পালটা খোঁচা দিতে ছাড়েনি তৃণমূল।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা, তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, বীরভূমের নেতা অনুব্রত মণ্ডল, কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী, নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সেখানেই অবাক করেছে শুভেন্দু অধিকারীর নীরবতা। দেখা যায়নি, অর্জুন সিং, তাপস রায়েদের মতো নব্য বিজেপি নেতাদেরও।
শুভেন্দু ও দিলীপের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই দীর্ঘদিনের। শোনা যায়, শুভেন্দুর অঙ্গুলিহেলনেই নাকি দিলীপ ঘোষের জেতা আসন থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল চব্বিশের ভোটে। এমনকি দিলীপের হারের নেপথ্যে শুভেন্দুর ভূমিকা আছে বলেও দাবি করেন বিজেপির একাংশ। এবার সেই ঠান্ডা লড়াই দিলীপের বিয়েতেও দেখা গেল।