আর্থিক স্বচ্ছতার নিরিখে বিশ্বের ১২৫টি দেশের মধ্যে মোদীর ভারত ৫৪ নম্বরে! বিস্ফোরক রিপোর্ট IMF-র

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ‘না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা’ স্লোগান হেঁকে ক্ষমতায় এসেছিলেন মোদী। কিন্তু মোদীর ভারতে আর্থিক স্বচ্ছতা দিন দিন কমছে? এমন তথ্য-পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে এনেছে ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড বা আইএমএফ। দেশবাসীর করের টাকায় ফুলে ফেঁপে ওঠে দেশের কোষাগার। সেই টাকা ব্যয় করে কেন্দ্র সরকার। টাকা কোথায় খরচ হচ্ছে, কীভাবে হচ্ছে, তা জানার অধিকার রয়েছে আম জনতার। কিন্তু মোদী আমলে তাতেও প্রশ্নচিহ্ন! আর্থিক স্বচ্ছতার নিরিখে বিশ্বের ১২৫টি দেশকে নিয়ে আইএমএফ তালিকা তৈরি করে। সেই তালিকায় দেখা যাচ্ছে, মনমোহন সিংয়ের আমলের তুলনায় ৪০ ধাপ নিচে নেমে গিয়েছে মোদীর ভারত। ২০১২ সালে তালিকায় ভারতের স্থান ছিল ১৪ নম্বরে, ২০২৩ সালে ৫৪ নম্বরে পৌঁছে গিয়েছে দেশ!
করের টাকা রাজ্যে রাজ্যে বণ্টন করতে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর অন্তর অর্থ কমিশন গঠন করে কেন্দ্র। ১৬তম কমিশন গঠিত হয়েছে। এই আবহে অর্থনীতির স্বচ্ছতার প্রশ্নে রিপোর্ট পেশ করেছে অর্থমন্ত্রকের অধীনস্থ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পাবলিক ফিনান্স অ্যান্ড পলিসি। কোনও দেশের আর্থিক নীতি নির্ধারণের বিষয়ে সাধারণ মানুষের কাছে যতটা তথ্য তুলে ধরা হয়, সেটাই আর্থিক স্বচ্ছতা। নয়ের দশক থেকে বিষয়টিতে গুরুত্ব দেওয়া শুরু হয়। অর্থমন্ত্রকের অধীনস্থ সংস্থার রিপোর্ট বলেছে, মোদী আমলে সরকারের নিজেদের মধ্যে যে অর্থের আদানপ্রদান হচ্ছে, স্বচ্ছতার প্রশ্নে তা অত্যন্ত উদ্বেগের। অর্থ কমিশন গড়া হলেও, বিভিন্ন মন্ত্রক ও রাজ্যগুলিকে যে কর বা রাজস্ব বণ্টন করা হয়, তাতেও অস্বচ্ছতা রয়েছে। ১৬তম অর্থ কমিশনের প্রস্তাব, স্বচ্ছতা বজায় রাখতে পোর্টাল তৈরি করা হোক। যদিও তা করা হবে কিনা জানা যায়নি।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, কোথায় কত আর্থিক অসঙ্গতি আছে, তা বিবেচনা করতে শুধুমাত্র ভরসা ক্যাগ-কে করলে চলবে না। ফিসক্যাল কাউন্সিলের মতো একটি স্বশাসিত সংস্থা গড়ে তোলা আবশ্যক, যা স্বাধীনভাবে দেশের আর্থিক অবস্থার পর্যালোচনা করবে। এতে স্বচ্ছতা বাড়বে।