জীবনশৈলী বিভাগে ফিরে যান

কোন ওষুধটি আসল এবং কোনটি নকল, বুঝবেন কীভাবে?

April 22, 2025 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দেশে নকল ওষুধের সমস্যা ক্রমশ বাড়ছে। গত এক বছরে গুণমান পরীক্ষায় প্রায় ১ হাজারটি ওষুধ ফেল করেছে। এর মধ্যে কলকাতার সেন্ট্রাল ড্রাগ ল্যাবের পরীক্ষায় ৩১২টি ওষুধের নমুনা মানহীন বলে প্রমাণিত হয়েছে। এই পরিস্থিতির জন্য মানুষের সামগ্রিক স্বাস্থ্য নিয়ে দেখা দিচ্ছে সংকট। কিন্তু কীভাবে চিনবেন, কোন ওষুধটি আসল এবং কোনটি নকল?

সাধারণত ওষুধের গুণগতমান বৃদ্ধিতে অথবা নকল ওষুধ রোধে উন্নতমানের টেকনোলজি ব্যবহৃত হয়। অথচ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নকল ওষুধ তৈরিতেও উন্নত পদ্ধতি ব্যবহার করছেন। না হলে ‘কিউ আর কোড (QR Code)’ কীভাবে নকল হতে পারে! চিন্তার কথা, এই নকল ওষুধ অত্যন্ত সুচারুভাবে বাজারে উপস্থাপন করা হচ্ছে। দেশের ভেষজ নিয়ন্ত্রণ অধিকারের পক্ষে এই সমস্যার সমাধান করা কতটা সম্ভব তা এখন প্রশ্নের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে! ওষুধ ব্যবসায় যুক্ত সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ, তথা সাধারণ মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি খুবই প্রয়োজন।

বর্তমানে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী প্রতিমাসে কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা প্রকাশিত নিম্নমানের ওষুধের তালিকা প্রতিটি দোকানে প্রদর্শন করতে হবে। এই নিম্নমানে ওষুধগুলি আবার নকলও হতে পারে। তবে তা অনুসন্ধান যোগ্য। অভিজ্ঞতা থেকে এও লক্ষণীয় যে, নকল ওষুধের গুণমান অনেক সময় নিম্নমানের হয় না। এই সমস্ত ওষুধগুলি কোনও নকল প্রস্তুতকারকের দ্বারা উন্নতমানের পদ্ধতি অবলম্বন করে প্রস্তুত করা হয়। এরপর ওষুধ ব্যবসায় যুক্ত নানা মানুষের সাহায্যে বাজারকৃত করা হয়।

সাধারণ মানুষের যা যা করা উচিত

ক্যাশমেমো ছাড়া কোনও ওষুধ কেনা ঠিক নয়। ওষুধ দোকানের লাইসেন্স প্রদর্শন বাধ্যতামূলক। ক্যাশমেমোর সঙ্গে মিলিয়ে নিন ওষুধের দোকানের লাইসেন্স। পশ্চিমবঙ্গ ভেষজ অধিকারের ই-ভেষজ পোর্টালের সাহায্যে, লাইসেন্স নম্বর, মালিক এবং নিযুক্ত ফার্মাসিস্ট-এর নাম যাচাই করুন। লেবেলের ওপর প্রস্তুতকারক সংস্থার কিউ আর কোড/ বার কোড যাচাই করুন। প্রতিদিনের ব্যবহৃত পুরনো প্যাকের সঙ্গে নতুন প্যাকের নমুনা মিলিয়ে নিন। কোন সন্দেহ হলে ভেষজ নিয়ন্ত্রণ আধিকারিকের নজরে আনুন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Medicine, #Real Medicine

আরো দেখুন