মেয়াদ শেষের আগে সরকার পড়লেও ডাকা হবে না বিরোধীদের? প্রশ্ন ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ বিল সংক্রান্ত JPC-তে

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: এক দেশ এক নির্বাচন বিল সংক্রান্ত যৌথ সংসদীয় কমিটিতে মোদী সরকারকে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বিলে রয়েছে, মেয়াদ শেষের আগে সরকার পড়লে লোকসভা বা বিধানসভা ভোট হবে। তবে পাঁচ বছরের জন্য নয়, নতুন সরকারের মেয়াদ হবে পূর্ববর্তী সরকারের বাকি থাকা সময়টুকু। কল্যাণের প্রশ্ন, “প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করতে মানুষ পাঁচ বছরের জন্য ভোট দেয়। সরকার যদি মেয়াদ শেষে আগে পড়েও যায়, তাহলে ফের বাকি থাকা সময়ের জন্য কেন হবে ভোট? নির্বাচন শেষ উপায়। কেন বিরোধীদের সরকার গড়তে ডাকবেন না রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপাল? গণতন্ত্রে বিরোধীদেরও একটা বড় ভূমিকা আছে।” কমিটির চেয়ারম্যান বিজেপির পিপি চৌধুরী, কল্যাণের প্রশ্ন শুনে চুপ করে যান। বৈঠকে থাকা কংগ্রেসের মুকুল ওয়াসনিক, রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা, এনসিপি (শরদ)র সুপ্রিয়া সুলের মতো ইন্ডিয়া জোটের সদস্যরা, এমনকী বিজেপির সিংহভাগ সদস্যও কল্যাণের প্রশ্নকে সমর্থন জানান।
এক দেশ এক নির্বাচন সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মতামত জানতে বিশিষ্টদেরও ডাকা হয়। সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা, জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এস এন ঝা, সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি তথা ২১ তম ল’ কমিশনের চেয়ারম্যান বি এস চৌহান এবং বিশিষ্ট আইনজীবী হিসেবে অভিষেক মনু সিংভিকে ডাকা হয়েছিল। সূত্রের খবর, প্রাক্তন তিন বিচারপতি বিলের পক্ষে মত দেন।