মূর্তি নদীর ধারে অবস্থিত পানঝোরার ওয়াইল্ডারনেস ক্যাম্প ভ্রমণপিপাসুদের নয়া ঠিকানা হতে চলেছে

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: চাপড়ামারি বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্যের কোল ঘেঁষে মূর্তি নদীর ধারে অবস্থিত পানঝোরার ওয়াইল্ডারনেস ক্যাম্প। নতুন করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে সেখানকার চারটি কটেজ। চাপড়ামারি বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্যের কোল ঘেঁষে মূর্তি নদীর ধারে অবস্থিত পর্যটনকেন্দ্রটি ডুয়ার্সে বেড়াতে আসা ভ্রমণপিপাসুদের নয়া ঠিকানা হতে চলেছে, তা নিয়ে সন্দেহ নেই সংশ্লিষ্ট মহলে।
করোনা সংকটের সময় ২০২১-এর এপ্রিল মাস থেকে ওই ক্যাম্পটি বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে পড়ে থাকা কটেজগুলিকে নতুন করে সংস্কারের উদ্যোগ নেয় গরুমারা ডিভিশন। জীর্ণ কটেজগুলি মেরামতির পর প্রলেপ পড়েছে বাহারি রংয়ের। মখমলি ঘাস লাগিয়ে সবুজ করে তোলা হয়েছে গোটা ক্যাম্পাস। তৈরি করা হয়েছে দু’দণ্ড নিভৃতে প্রকৃতিকে উপভোগ করার জায়গা। ক্যাম্প পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পানঝোরা যৌথ বন পরিচালন সমিতিকে।
দু’দণ্ড শান্তিতে জিরিয়ে নিতে আসা পর্যটকদের কাছে ওই নিরিবিলি স্থানটি এক সময় দারুণ প্রিয় ছিল। শব্দ বলতে সেখানে শুধু মূর্তি নদীর স্রোত আর দেশের মধ্যে অন্যতম পাখিরালয় হিসেবে পরিচিত চাপড়ামারি থেকে ভেসে আসা নানা ধরনের পাখপাখালির কলতান। বন্ধ হওয়ার আগে সেখানে প্রতিদিন পর্যটকদের জন্য আদিবাসী লোকনৃত্য প্রদর্শনীর ব্যবস্থা ছিল। সেটা ফের চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছে যৌথ বন পরিচালন সমিতি।
বন দপ্তর সূত্রেই জানা গিয়েছে, পানঝোরার ওয়াইল্ডারনেস ক্যাম্পে সৌরবিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে রাখা হয়েছে জেনারেটর। পানঝোরা বস্তির মাঝখান দিয়ে চলে যাওয়া রাস্তা ধরে মূর্তি রেলসেতু পর্যন্ত গাড়ি নিয়ে পর্যটকরা যেতে পারবেন। এরপর অল্প কিছুটা পথ হাঁটতে হবে। আগে চাপড়ামারির জঙ্গল দিয়ে সেখানে যাওয়ার রাস্তা ছিল। তবে বনের সুরক্ষার কারণে সেই রাস্তাটি এখন আর ব্যবহার করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।