পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নানা জায়গায় এলইডি স্ক্রিনের সাহায্যে দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখানো হবে

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ৩০ এপ্রিল দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন হবে। এখন ওই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সাজ সাজ রব। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মন্ত্রিসভার সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন। কড়া নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হচ্ছে। যার জেরে এখন দিঘা জমজমাট। কিন্তু এই উদ্বোধনের অনুষ্ঠান অনেকেই দেখতে পাবেন না। কারণ সবার পক্ষে দিঘায় আসা সম্ভব নয়। আবার যাঁরা পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় থাকেন সেইসব বাসিন্দারাও দিঘায় উপস্থিত থাকতে পারবেন না। কারণ অতিরিক্ত মানুষজন সেখানে তখন ঢুকতে দেওয়া হবে না। তাই তাঁদের কথা ভেবে বড় সিদ্ধান্ত নিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন।
জেলার নানা জায়গায় এলইডি স্ক্রিনের সাহায্যে সরাসরি অনুষ্ঠান দেখানোর ব্যবস্থা করা হবে। এর পাশাপাশি এলাকার পুরোহিতদের সংবর্ধনা জানানো হবে। এছাড়াও বিভিন্ন মোড়ে সভা করে এনিয়ে প্রচার চালানো হবে। ভগবানপুর-২ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান দীপঙ্কর খাটুয়া বলেন, আমরা দলের পক্ষ থেকে জায়ান্ট স্ক্রিনে ওই অনুষ্ঠান সরাসরি দেখানোর ব্যবস্থা করব। পাশাপাশি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বয়স্ক ব্রাহ্মণদের সংবর্ধনা জানানো হবে। দলের পক্ষ থেকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রস্তুতির কাজও পুরোদমে চলছে। বৃহস্পতিবার রাজ্যের দুই মন্ত্রী দীঘায় আসেন। পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী এদিন দীঘা ডিপো থেকে দীঘা-বহরমপুর ও দীঘা-তারাপীঠ নতুন দু’টি সরকারি বাস পরিষেবা উদ্বোধন করেন। দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু এদিন দপ্তরের শীর্ষ অফিসারদের সঙ্গে ভিজিট করে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন। মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মোট ১০০জন দমকল কর্মী দীঘায় থাকবেন। ২০টি দমকলের ইঞ্জিন আনা হচ্ছে। এছাড়াও ২৫টি বাইকে পোর্টেবল পাম্প এবং অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র নিয়ে কর্মীরা প্রস্তুত থাকবেন। বিভাগের ডিজি সহ মোট ১৫জন শীর্ষস্তরের অফিসার এবং ১৫জন ইন্সপেক্টর থাকবেন। মোট পাঁচটি অস্থায়ী হেলিপ্যাড এবং পাঁচটি পার্কিংজোন করা হয়েছে। প্রতিটি হেলিপ্যাড এবং পার্কিংজোনে দমকলের ইঞ্জিন থাকবে।