শেষযাত্রায় পোপ ফ্রান্সিস, আম জনতা থেকে রাষ্ট্রপ্রধান ভ্যাটিকানে মানুষের ঢল

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: প্রয়াত হয়েছেন সাধারণের পোপ, পোপ ফ্রান্সিস। নিপীড়িত মানুষের দুঃখকষ্ট লাঘব করতে এগিয়ে এসেছিলেন তিনি, মানুষের অনেক কাছাকাছি নিয়ে এসেছিলেন চার্চকে। তাঁর শেষকৃত্যে গোটা বিশ্ব মিশে গেল ভ্যাটিকানে। পোপ ফ্রান্সিসের শেষযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন দৌপদী মুর্মু-সহ ৫৪ দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। গত তিন দিনে পোপকে শেষবারের মতো দেখতে উপস্থিত হয়েছিলেন ২.৫ লক্ষের বেশী অনুগামী। উল্লেখ্য, গত সোমবার ৮৮ বছর বয়সে প্রয়াত হন পোপ ফ্রান্সিস। ২০১৩ সালে প্রথম লাতিন আমেরিকান পোপ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন তিনি।
ভারতীয় সময় অনুযায়ী শনিবার দুপুর ১টা ৩০ নাগাদ শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় পোপ ফ্রান্সিসের। তবে ভ্যাটিকানের সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় নয়, পোপের ইচ্ছাকে সম্মান জানিয়ে তাঁকে সমাধিস্থ করা হয় রোমের সান্তা মারিয়া ম্যাগিওর ব্যাসিলিকায়। পোপের শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, সস্ত্রীক ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, ব্রিটেনের রাজপুত্র উইলিয়াম, ইতালির রাষ্ট্রপতি জর্জিয়া মেলোনি, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার,ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদামির জেলেনস্কি সহ আরও অনেক রাষ্ট্রনেতা। শেষ বিদায় জানাতে রোমে উপস্থিত হন লক্ষ লক্ষ মানুষ।
সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকা থেকে বিশেষ গাড়িতে পোপের নশ্বর দেহ বাইরে আনা হয়। বিভিন্ন রাস্তায় ছিল জায়ান্ট স্ক্রিন। ভিড় উপচে পড়ছিল। প্রার্থনায় পৌরহিত্য করেন কার্ডিনাল জিওভান্নি বাতিস্তা রে। প্রার্থনা শেষে সেন্ট মেরি মেজর ব্যাসিলিকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় পোপের দেহ। রাস্তার দু’ধারে মানুষের ভিড়। ফ্রান্সিসের শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী, ভার্জিন মেরির উপাসনাস্থলে তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়।