দেশ বিভাগে ফিরে যান

৭ই মে  ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর প্রথম দিনে যে পাঁচ শীর্ষ সন্ত্রাসবাদীকে নিকেষ করা হয়েছে, তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

May 10, 2025 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ৭ মে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অভিযান চালিয়ে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করেছে ভারত। পাকিস্তান দাবি করেছে, ওই হানায় তাদের দেশের সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছেন। সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন ভারতীয় বিদেশসচিব। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, বেছে বেছে পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সেনা। প্রতিবেশী দেশের সেনাঘাঁটিকে কোনও ভাবেই লক্ষ্য করা হয়নি। এর পরেই তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, যদি সাধারণ নাগরিক নিহত হতেন, তা হলে কি তাঁদের কফিনে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা জড়িয়ে এ ভাবে শেষকৃত্য করা হত? তাঁর কথায়, ‘‘বুধবার শেষকৃত্য হয়েছে সেখানে জঙ্গিদের। সমাজমাধ্যমে আপনারা দেখেছেন। যদি সাধারণ নাগরিক নিহত হতেন, তা হলে কি এই ছবি দেখা যেত? জঙ্গিদের দেহ পাকিস্তানি পতাকায় মুড়ে নেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য হয়েছে। হয়তো জঙ্গিদের শেষকৃত্য এ ভাবেই হয় পাকিস্তানে।’’

সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে ওই দিন অর্থাৎ অপারেশন সিঁদুরের প্রথম দিনে পাঁচ শীর্ষ সন্ত্রাসবাদীকে নিকেষ করা হয়েছে। জেনে নিন এদের সম্পর্কে-

মুদাসসর খাদিয়ান খাস ওরফে মুদাসসার ওরফে আবু জুন্দাল(লস্কর-ই-তৈবা)

  • পাকিস্তান সেনাবাহিনী তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াতে গার্ড অফ অনার প্রদান করে। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান এবং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মারিয়াম নওয়াজের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া একটি সরকারি স্কুলে অনুষ্ঠিত হয়, যার নেতৃত্বে ছিলেন জেইউডির হাফিজ আব্দুল রউফ (শীর্ষ আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী বলে পরিচিত)। পাক সেনাবাহিনীর একজন কর্মরত লেফটেন্যান্ট জেনারেল এবং পাঞ্জাব পুলিশের আইজি এই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

হাফিজ মুহাম্মদ জামিল (জৈশ-ই-মহম্মদ)

  • মৌলানা মাসুদ আজহারের বড় শ্যালক। ছিলেন বাহাওয়ালপুরের মারকাজ সুবহানআল্লাহের ইনচার্জ। যুবকদের মৌলবাদী শিক্ষাদান এবং জেইএমের জন্য তহবিল সংগ্রহে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন।

মোহাম্মদ ইউসুফ আজহার ওরফে ওস্তাদ জি ওরফে মোহাম্মদ সেলিম ওরফে ঘোসি সাহাব (জৈশ-ই-মহম্মদ)

  • মৌলানা মাসুদ আজহারের শ্যালক। জম্মু ও কাশ্মীরে একাধিক সন্ত্রাসবাদী হামলায় জড়িত। আইসি-৮১৪ ছিনতাই মামলায় ওয়ান্টেড।

খালিদ ওরফে আবু আকাশা (লস্কর-ই-তৈবা)

  • জম্মু ও কাশ্মীরে একাধিক সন্ত্রাসবাদী হামলায় জড়িত। আফগানিস্তান থেকে অস্ত্র পাচারে জড়িত। ফয়সালাবাদে তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ফয়সালাবাদের ডেপুটি কমিশনার উপস্থিত ছিলেন।

মোহাম্মদ হাসান খান(জৈশ-ই-মহম্মদ)

  • পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে জেইএম-এর অপারেশনাল কমান্ডার মুফতি আসগর খান কাশ্মীরির পুত্র। জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার সমন্বয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#India Pakistan War, #Terrorists, #India Vs Pakistan, #Operation Sindoor

আরো দেখুন