প্রধানমন্ত্রীর নৈশভোজে মূলত হাসি-মশকরা ছাড়া ‘গঠনমূলক’ কিছু হয়নি, হতাশ তৃণমূল

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৭:০১: মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আহ্বানে বিশেষ নৈশভোজে যোগ দেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নৈশভোজের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মোদী। সেই আমন্ত্রণ পেয়ে মঙ্গলবার দিল্লি যান অভিষেক। এদিনই সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে নৈশভোজে অভিষেক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাতটি বহুদলীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
কিন্তু সেই নৈশভোজ পর্বকে ‘সময় নষ্ট’ বলে বর্ণনা করেছে তৃণমূল। নৈশভোজের পরে তিনি ঘনিষ্ঠমহলে ‘বিরক্তি’ প্রকাশ করেছেন অভিষেক। যদিও বিজেপি সূত্রের দাবি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ‘উষ্ণ’ আদানপ্রদান হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের আবহ বোঝাতে রাতেই ভিডিয়ো প্রকাশ করে বিজেপি। সেখানেই বিভিন্ন নেতা-নেত্রীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে দেখা যাচ্ছে। তবে ওই ভিডিয়োয় কোথাও অভিষেককে দেখা যায়নি। তৃণমূলের শীর্ষ সূত্রের বক্তব্য, অভিষেকের টেবিল পর্যন্ত আসেননি প্রধানমন্ত্রী।
অপারেশন সিঁদুরের ব্যাখ্যা দিতে সাতটি দলে ভাগ হয়ে ৫৯ জন নেতা ও প্রাক্তন কূটনীতিক ৩৩টি দেশ সফর করেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন-সহ বিভিন্ন দেশের সংসদ, নীতিনির্ধারক ও প্রশাসনের কাছে ভারতের বক্তব্য তুলে ধরেন তাঁরা। দলের নেতৃত্বে ছিলেন— কংগ্রেস নেতা শশী থারুর, বিজেপির রবিশঙ্কর প্রসাদ, ডিএমকের কানিমোঝি, শিবসেনার শ্রীকান্ত শিন্ডে, জেডিইউ-র সঞ্জয় ঝা, এনসিপি-র সুপ্রিয়া সুলে প্রমুখ।
সেই প্রতিনিধিরা দেশে ফিরে এসেছেন। তাঁরা কী বললেন আর কী শুনে এলেন, তার নির্যাস জানতেই ওই নৈশভোজ বলে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন সূত্রের দাবি ছিল। কিন্তু সেই নৈশভোজে যা হয়েছে, তাতে তৃণমূল ‘সন্তুষ্ট’ নয়। দলের একটি সূত্রের বক্তব্য, নৈশভোজে ভোজ এবং মূলত হাসি-মশকরা ছাড়া ‘গঠনমূলক’ কিছু হয়নি।