দেশ বিভাগে ফিরে যান

বিচারপতির উস্কানিমূলক মন্ত্যবের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের অভ্যন্তরীণ তদন্ত স্থগিত, পিছনে কি ধনখড়?

June 11, 2025 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৬:২৬: বিগত ডিসেম্বরে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি শেখরকুমার যাদবের বিতর্কিত মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল সুপ্রিম কোর্ট। তার মধ্যেই রাজ্যসভার সচিবালয় চিঠি পাঠিয়ে সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে, বিষয়টি কেবলমাত্র রাজ্যসভার এক্তিয়ারধীন। সাফ কথায়, শীর্ষ আদালতের হস্তক্ষেপের জায়গা নেই বলেই জানিয়ে দিয়েছে রাজ্যসভা।

এক বেসরকারি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত মার্চে রাজ্যসভা চিঠি দিয়ে জানায়; বিচারপতির উপর অভ্যন্তরীণ তদন্ত বা এই ধরণের কোনও পদক্ষেপ করার সাংবিধানিক অধিকার পদাধিকার বলে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের। এছাড়াও এহেন অধিকার সংসদ ও রাষ্ট্রপতির উপর ন্যস্ত থাকে। এই চিঠির পর বিচারপতির বিরুদ্ধে তদন্তের সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়। মনে করা হচ্ছে, তদন্তের উদ্যোগ যে স্থগিত করা হয়েছে, তার পিছনে আছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়।

এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বিতর্কিত মন্তব্যের পর দেশের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি যাদবের মন্তব্য মূল্যায়ণের প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন। কিন্তু প্রক্রিয়া মাঝপথেই থামাতে হয় বলে মত নানা মহলের। ফেব্রুয়ারিতে, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় মন্তব্য করেছিলেন, এলাহাবাদ হাইকোর্ট থেকে বিচারপতি যাদবকে অপসারণের বিষয়টি সমাধান করার এক্তিয়ার কেবল সংসদের।

ধনখড় জানিয়েছিলেন, সংবিধানের ১২৪(৪) অনুচ্ছেদের অধীনে এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি শেখর যাদবকে পদ থেকে অপসারণের জন্য রাজ্যসভার ৫৫ জন সদস্যের স্বাক্ষর সহ একটি প্রস্তাব তিনি ২০২৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর পান। প্রস্তাবে কোনও তারিখ ছিল না। কিন্তু এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা সাংবিধানিকভাবে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এবং সংসদ ও মাননীয় রাষ্ট্রপতির হাতে ন্যস্ত রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় বিচারপতি যাদব হিন্দু সম্প্রদায়ের কথা উল্লেখ করে বলেছিলেন, “ভারত কেবল সংখ্যাগরিষ্ঠদের ইচ্ছা অনুসারে কাজ করবে। এমনকী তিনি বিতর্কিত ‘কাটমোল্লা’ শব্দটি ব্যবহার করে মুসলমানদের একটি অংশকে আক্রমণ করেন। মুসলমানদের দেশের জন্য মারাত্মক বলেও বর্ণনা করেন বিচারপতি যাদব। আরও বলেন, তাদের (মুসলমানদের) সামনে যখন পশু জবাই করা হচ্ছে তখন তাদের সন্তানরা কীভাবে দয়ালু এবং সহনশীল হবে। বিচারপতি যাদবের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরই, সুপ্রিম কোর্ট এলাহাবাদ হাইকোর্টের কাছে এই বিষয়ে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছিল। বক্তব্যকে ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে। এর কয়েকদিন পর, রাজ্যসভায় বিরোধী দলের ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বিচারপতি যাদবের ইম্পিচমেন্টের জন্য একটি প্রস্তাব পেশ করে। বিচারপতির বিরুদ্ধে সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন, ঘৃণা ভাষণ এবং সাম্প্রদায়িক বিভেদে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Internal investigation, #Jagdeep Dhankhar, #Supreme Court of India, #Judge, #Remarks

আরো দেখুন