ঘুরপথে NRC? নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ম নিয়ে প্রশ্ন তৃণমূলের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১২:০০: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India) বাড়ি ধরে ধরে নতুন করে ভোটার তালিকা সংশোধনের লক্ষ্যে বিশেষ কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। এব্যাপারে নির্দেশিকা’ও জারি করা হয়েছে। বাংলার জন্য এখনও কোনও নির্দেশিকা জারি না করলেও, বিহারে ভোটার তালিকায় সার্বিক সংশোধনের কথা তুলেছে নির্বাচন কমিশন। একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করে তারা জানিয়েছে, নাগরিকত্ব সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট পরিচয়পত্র ছাড়া আর ভোটার তালিকায় নাম তোলা যাবে না। এছাড়াও ২০০৩ সালের ভোটার তালিকায় যাদের নাম ছিল না, তাদের জন্মের শংসাপত্র জমা দিতে হবে। পাশাপাশি, জমা দিতে হবে একটি ডিক্লারেশন ফর্মও।
শনিবার সকালে এই বিষয়ে দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠকে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল কংগ্রেসের তিন রাজ্যসভার সাংসদ, ডেরেক ও’ব্রায়েন (রাজ্যসভার নেতা), ডেপুটি লিডার সাগরিকা ঘোষ এবং সাকেত গোখলে। সাগরিকা ঘোষ বলেন, নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে বিজেপি বিরোধীদের টার্গেট করছে। এই বিষয়টি (নির্বাচনী তালিকা সংশোধন) প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Chief Minister Mamata Banerjee) উত্থাপন করেছিলেন। ২৪শে জুন, নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করে যে বিহার বিধানসভা নির্বাচনের জন্য একটি বিশেষ সংশোধন কর্মসূচি করা হবে। বলা হয়েছিল যে এটি বিহার নির্বাচনের জন্য করা হচ্ছে, কিন্তু আসল লক্ষ্য হল বাংলা। তৃণমূল সাংসদরা এদিন বলেন, বিজেপির অন্তর্বর্তী সমীক্ষায় পাওয়া গিয়েছে যে ২০২৬ বিধানসভা ভোটে তারা ৫০টি আসনও পাবে না।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নতুন করে ভোটার তালিকা তৈরির বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। কমিশনের নির্দিষ্ট গাইড লাইন ও যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর কথা তুলে ধরে তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন রাজ্যের নির্বাচিত সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলিকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেন্দ্রের চাপেই এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে তাঁর অভিযোগ।
ভোটার তালিকায় নাম রাখার জন্য জন্মস্থান ও জন্মতারিখ সংক্রান্ত নথি জমা দেওয়ার নির্দেশিকাকেও তীব্রভাবে আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় সরকার এর মাধ্যমে পরোক্ষে NRC চালু করতে চাইছে কিনা, এনিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।