রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

ভোটার তালিকা সংশোধনী নিয়ে তৃণমূলের ১০ প্রশ্ন

July 10, 2025 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি, ১৪:৪০: চলতি বছরের শেষেই বিহার নির্বাচন আর তার আগেই তড়িঘড়ি ভোটার তালিকা সংশোধন (SIR) প্রক্রিয়া শুরু করেছেন নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। এই প্রক্রিয়া নিয়ে একাধিক মামলা সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে দায়ের হয়েছে। যার শুনানি হওয়ার কথা আজ (বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই)। কিন্তু এই পদ্ধতির মাধ্যমে যে কেন্দ্রীয় সরকার ঘুরপথে এনআরসি (NRC) করতে চাইছে তা এখন বেশ স্পষ্ট বিরোধীদের তোলা বেশ কিছু প্রশ্নে।

তবে কমিশনের দাবি ভুঁয়ো ভোটার, জাল আধার কার্ড এসব রুখতে এবং সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করতেই কমিশনের এই পদক্ষেপ। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, যে সংশোধনের প্রক্রিয়া চলছে তার চূড়ান্ত তালিকা ১ অগাস্ট প্রকাশিত হবে। যারা ভোটার কমিশনের ফর্ম ফিলাপ (Form fillup) করেছেন তাঁদের সবার নাম সেই তালিকায় থাকবে। তালিকা সংশোধন ১৯৫০ সালের আইন অনুযায়ী হবে। সেইসঙ্গে পরিচয় যাচাই না হওয়া পর্যন্ত নাম বাদ যাবে না ভোটার তালিকা থেকে।

কিন্তু আদতে যে এভাবে কারচুপি করে বাতিল করে দেওয়া হবে অনেকের ভোটাধিকার তা বারবার জানিয়েছে তৃণমূল। নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India) দেওয়া সাফাই নিয়ে ১০টি প্রশ্ন করেছে তৃণমূল (Trinamool Congress)। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শ্রীমতি সাগরিকা ঘোষ (Sagarika Ghose) একটি ভিডিওর মাধ্যমে এই প্রশ্নগুলো রেখেছেন নির্বাচন কমিশনের সামনে।

১০টি প্রশ্ন:

প্রথম প্রশ্ন: ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে আপনারা ভোটার তালিকা (voter list) সংশোধন ও আপডেট করার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করেছিলেন। তারপর ছয় মাসে এমন কী হয়ে গেল যা তা আবার সংশোধন করার প্রয়োজন হচ্ছে?

দ্বিতীয় প্রশ্ন: ২০০৩ সালের পর থেকে যাদের ভোটার তালিকায় নাম উঠেছে, তাদের ভুয়ো সন্দেহ করে পরিচয় যাচাই করা শুরু করা হয়েছে। তাহলে, সম্প্রতি যে পাঁচটি রাজ্যে ভোট হয়েছে সেই ভোটারদের মধ্যে ২০০৩ সালের পরের নথিভুক্ত ভোটাররা সকলে ভুয়ো ছিলেন?

তৃতীয় প্রশ্ন: ৫ টি নথিসহ ফর্ম ফিলাপ করতে বলা হচ্ছে। কী নিশ্চয়তা রয়েছে যে এই ফর্ম ফিলাপের পরে তা তালিকায় সংযুক্ত করা হবে। সেই সঙ্গে পাঁচটি নথির (document) একটিও জন্মের তারিখও স্থানের প্রামাণ্য নয়। তবে কেন সেগুলি চাওয়া হচ্ছে?

চতুর্থ প্রশ্ন: ২০০২-০৩ সালে প্রায় এক বছর সময় ধরে নির্বাচন কমিশন (ECI) একটি বিস্তারিত যাচাই পর্ব চালিয়েছিল। এখন এই তিন মাস সময়ের মধ্যে তড়িঘড়ি কীভাবে পুরো যাচাই (SIR) প্রক্রিয়া হবে?

পঞ্চম প্রশ্ন: কেন এই ভেদাভেদ করা হচ্ছে। যাদের নাম ২০০৩ সালের আগে অন্তর্ভুক্ত তাদের সঙ্গে, ২০০৩ সালের পরে অন্তর্ভুক্ত করা ভোটারদের মধ্যে কী পার্থক্য?

ষষ্ঠ প্রশ্ন: তাহলে কি এটি নাগরিক তথ্য সংগ্রহ বা এনআরসি (NRC) প্রক্রিয়া চলছে। সেক্ষেত্রে দরিদ্র, প্রত্যন্ত ও বিহারের পরিযায়ী শ্রমিকরা (migrant labour) কীভাবে এই প্রক্রিয়ার অন্তর্ভুক্ত হবে?

সপ্তম প্রশ্ন: বিগত এক দশক ধরে আধার (Aadhaar) নিতে এতো চর্চা চালানো হয়েছে আর এখন আধারকে পরিচয়ের প্রমাণপত্র হিসাবে গ্রহণ করা হচ্ছে না কেন?

অষ্টম প্রশ্ন: এতদিন বিরোধীদের উপর দোষারোপ করেছিলেন তথ্য যাচাই না করা নিয়ে। এই যাচাই পর্বে বিহারের (Bihar) গরীব শ্রেণির কী পরিস্থিতি আপনারা কি সেই তথ্য যাচাই করেছেন?

নবম প্রশ্ন: গবেষণা বলছে বিহারের একটা বড় অংশের বাসিন্দাদের কাছে, আপনারা যে নথি দাবি করছেন, সেই নথি নেই।আপনাদের কাছে কী এই তথ্য রয়েছে?

দশম প্রশ্ন: SIR-এর আসল অর্থ কী স্পেশাল ইনটেন্সিভ রিভিউ, না বিগ বসের আদেশ পালন?

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

আরো দেখুন