Shubhanshu Shukla: শেষের পথে ঐতিহাসিক মহাকাশযাত্রা, আগামীকাল পৃথিবীতে নামছে Axiom-4

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৮:২৪: ভারতের মহাকাশ অভিযানে যুক্ত হল এক নতুন মাইলফলক। ইসরোর (ISRO) মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (ISS) গবেষণা শেষে ফিরছেন পৃথিবীতে। তিনি দ্বিতীয় ভারতীয় নাগরিক হিসেবে মহাকাশে পা রাখলেন। অ্যাক্সিয়ম স্পেস ও NASA-র যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত Axiom-4 মিশন-এর অংশ ছিলেন তিনি।
সোমবার, ১৫ জুলাইয়ের ঠিক আগের সন্ধ্যায়, মহাকাশ স্টেশন থেকে ড্রাগন স্পেসক্র্যাফট-এ চড়ে শুভাংশু ও তাঁর সহ-অভিযাত্রীদের পৃথিবীতে ফেরার যাত্রা শুরু হয়। নির্ধারিত সময়ের তুলনায় প্রায় ১০ মিনিট দেরিতে বিকেল ৪টা নাগাদ তাঁরা ক্যাপসুলে প্রবেশ করেন এবং ৪টা ১৫ মিনিটে আনডকিং সম্পন্ন হয়। NASA জানিয়েছে, পুরো ফেরার যাত্রাপথে সময় লাগবে আনুমানিক ২২.৫ ঘণ্টা। সবকিছু ঠিকঠাক চললে মঙ্গলবার ভোররাতে ক্যালিফোর্নিয়ার উপকূলে তাঁদের স্প্ল্যাশডাউন (জলাভ্যন্তরে অবতরণ) হওয়ার কথা।
এই অভিযানে শুভাংশু ছিলেন মিশনের পাইলট। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার পোলিশ মহাকাশচারী স্লাভোশ উজনানস্কি-ভিসনিয়েভস্কি, হাঙ্গেরির তিবোর কাপু, এবং অ্যাক্সিয়ম স্পেসের হিউম্যান স্পেসফ্লাইট ডিরেক্টর, প্রাক্তন NASA মহাকাশচারী পেগি হুইটসন।
এই মিশন থেকে তাঁরা প্রায় ২৫০ কেজি গবেষণা উপকরণ ও নমুনা নিয়ে ফিরছেন। গবেষণার মূল বিষয় ছিল মহাকাশে মানবদেহের হাড় ও পেশির ক্ষয়, রক্ত সঞ্চালন পদ্ধতি, ক্যানসার সংক্রান্ত প্রাথমিক পরীক্ষা, উদ্ভিদ ও মাইক্রো অ্যালগির চাষ এবং দীর্ঘমেয়াদি মহাকাশযাত্রায় মানসিক স্বাস্থ্যের প্রভাব বিশ্লেষণ।
এই মিশন NASA ও ISRO-র মধ্যে ২০২০ সালে মোদী-ট্রাম্প বৈঠকে গৃহীত দ্বিপাক্ষিক মহাকাশ সহযোগিতা চুক্তির বাস্তব রূপ। এই সাফল্য ভারতের মহাকাশ গবেষণার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে।
শুভাংশুর বাবা শম্ভু দয়াল শুক্লা জানান, “ও আমাদের স্পেস থেকে ভিডিও কল করে দেখিয়েছে কীভাবে ওরা ভেসে থাকে, কীভাবে কোমরে বেল্ট বেঁধে দাঁড়িয়ে ঘুমোয়।” শুভাংশুর মা আশা দেবী বলেন, “ও আমাদের সূর্যোদয়, পৃথিবীর দৃশ্য, চাঁদ ও পাহাড়ের চলাচল স্পেস থেকে দেখিয়েছে।”
এই ঐতিহাসিক মিশন শুধু ভারতের নয়, বিশ্বের মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে একটি স্মরণীয় অধ্যায় হয়ে রইল।