কুলদীপকে বসিয়ে বিপাকে ভারত,দল নির্বাচন ঘিরে প্রশ্নের মুখে গম্ভীর

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৩:৪৫: অ্যান্ডার্সন -টেন্ডুলকর ট্রফির(Anderson- Tendulkar) চতুর্থ টেস্টে ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে(Manchester – Old Trafford) ভারতের বোলিং ভরাডুবি যেন আরও স্পষ্ট করে দিল কুলদীপ যাদবকে(Kuldeep Yadav) দলে না রাখার মূল্য কতটা বড়। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে ভারতের সর্বাধিক উইকেট সংগ্রাহক কুলদীপ (১১৮ উইকেট, গড় ২০.৭৪) ফর্মে থাকলেও তাঁকে একাদশে না রেখে সুযোগ দেওয়া হয়েছে অলরাউন্ডার ওয়াশিংটন সুন্দর এবং শার্দূল ঠাকুরকে।
ভারত বনাম ইংল্যান্ড চতুর্থ টেস্টের তৃতীয় দিনের শেষে ইংল্যান্ডের স্কোর দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ৫৪৪ রান। তৃতীয় দিনের শুরু থেকে ম্যাচে ভারতীয় বোলাররা কোনওরকম চাপই তৈরি করতে পারেনি ইংল্যান্ডের উপর। এই পরিস্থিতিতে ভারতের বোলিং কোচ মর্নি মর্কেল স্বীকার করেন, “কুলদীপ একজন বিশ্বমানের বোলার। তবে আমাদের দলের ব্যাটিংয়ে গভীরতা বাড়াতে গিয়ে দলের ভারসাম্য হারাতে হচ্ছে।” তিনি জানান, ভারতের টপ অর্ডার একাধিকবার উইকেট হারিয়েছে, তাই ব্যাটিং অর্ডারে বাড়তি সুরক্ষা রাখাই মূল উদ্দেশ্য ছিল।
তবে প্রশ্ন উঠেছে, যখন অকাশ দীপ ও নীতীশ কুমার রেড্ডি চোটের কারণে ছিটকে গেলেন এবং অর্শদীপ সিং কেও পাওয়া যাচ্ছেনা , তখনও কেন সুযোগ পেলেন না কুলদীপ? পরিবর্তে অনভিজ্ঞ অংশুল কাম্বোজ ও ফর্মে না থাকা শার্দূল ঠাকুরকে খেলানো হচ্ছে ।
জসপ্রিত বুমরাহএই ম্যাচে চোটের ধাক্কা সামলে মাঠে নামলেও পুরো ছন্দে ছিলেন না। মহম্মদ সিরাজকেও ক্লান্ত দেখিয়েছে ম্যাচে। স্পিন বিভাগে রবীন্দ্র জাদেজা ও ওয়াশিংটন সুন্দর দু’টি করে উইকেট পেলেও, তাঁদের বোলিংয়ে যথেষ্ট ধার ছিল না। শুষ্ক উইকেটে যেখানে স্পিনাররা খেলার মধ্যে আসেন, সেখানে একজন মূল চায়নাম্যান বোলার কুলদীপ বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারতেন বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
মর্কেল স্বীকার করেন, “উইকেটটা একটু স্পিন করছিল। তাই ওয়াশিংটন ও জাদেজা খেলেছে। তবে আমরা কুলদীপের জন্য উপযুক্ত সুযোগ খুঁজছি।” কিন্তু প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে যে ভারতের ব্যাটিং গভীরতা বাড়াতে গিয়ে দলের সবচেয়ে ধারালো স্পিন অস্ত্রকেই কি ভুলে গেলেন গম্ভীরের টিম ম্যানেজমেন্ট?