২১ টাকা দিলেই বাড়ি পৌঁছে যাবে দুর্গাপুজোর ভোগ

করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা দরকার। একই সঙ্গে পুজোর ভোগের প্রতি অবিস্মরণীয় টান রয়েছে সকলেরই। তাই এই বছর যাতে সেই টানে ভাটা না-পড়ে তার জন্য এই অভিনব অ্যাপ বাজারে নিয়ে এসেছেন দেব দত্ত নামে এক বাঙালি ইঞ্জিনিয়ার।

September 15, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

বাড়িতে স্মার্টফোন আর ইন্টারনেট আছে? ব্যস তা হলেই হবে। ভার্চুয়াল মাধ্যমেই ঠাকুর দেখা থেকে শুরু করে পুজোর ভোগ হাতের নাগালে পেয়ে যাবেন শহরবাসী। অনলাইনে পুজো দেখার ব্যাপারটা তো কোভিড আবহে অনেকটাই কান সওয়া হয়ে গিয়েছে। কিন্তু অনলাইনে ভোগ বিতরণ? হঠাৎ শুনলে একটু খটকা লাগার মতোই বিষয়। আশ্চর্যও হতে পারেন। তবে সেই খটকা দূর করতে অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন এক বাঙালি ইঞ্জিনিয়ার। তিনি এবং তাঁর সহকারীরা মিলে তৈরি করেছেন একটি বিশেষ মোবাইল অ্যাপ। সেই অ্যাপের মাধ্যমে বিভিন্ন বারোয়ারি কিংবা বনেদি বাড়ির পুজোর ভোগ বাড়িতে বসেই অর্ডার করতে পারবেন সাধারণ মানুষ। খরচ অতি সামান্য। করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা দরকার। একই সঙ্গে পুজোর ভোগের প্রতি অবিস্মরণীয় টান রয়েছে সকলেরই। তাই এই বছর যাতে সেই টানে ভাটা না-পড়ে তার জন্য এই অভিনব অ্যাপ বাজারে নিয়ে এসেছেন দেব দত্ত নামে এক বাঙালি ইঞ্জিনিয়ার।

শুধুমাত্র মোবাইল হাতে নেওয়ার অপেক্ষা আর ভোগ খাবার ইচ্ছে। অ্যাপের মাধ্যমে সোজা ভোগ পৌঁছে যাবে মণ্ডপ থেকে আপনার বাড়ির দরজায়। অ্যাপটি নাম yotto.in (ইয়োটো)। অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন থেকে গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে। কিছুদিনের মধ্যে আইওএস (অ্যাপল) সিস্টেমেও এই অ্যাপটি চলে আসবে। অ্যাপটি খুললে সেখানে ‘ভোগ’ নামে একটি সেকশন থাকছে। লগ-ইন করে সেই সেকশনে প্রবেশ করতে হবে। এখানে নিজের বাড়ির ঠিকানা অনুযায়ী ৩-৪ কিলোমিটার পরিধি বিশিষ্ট এলাকার মধ্যে যেসব বারোয়ারি এবং বনেদি পুজো ভোগ করছে তাদের নাম দেখতে পাওয়া যাবে। উৎসাহীরা তাঁদের পছন্দমতো পুজো কমিটির ভোগ অর্ডার করতে পারবেন। গাড়ি ভাড়া বাবদ ডেলিভারি বয়কে দিতে হবে মাত্র ২১ টাকা। তবে এই ভোগ বুক করতে হবে পুজোর আগেই। অর্থাৎ, পঞ্চমী পর্যন্ত বুকিংয়ের শেষ সময়। এর পরে আর বুকিং নেওয়া হবে না।

অ্যাপটির আবিষ্কর্তা দেব দত্ত বলেন, শুধু ভোগ খাওয়ার ইচ্ছে থাকা চাই নিউ নরমাল পুজোয়। এবার ঘরে বসেই মিলবে ঠাকুরের প্রসাদ। ইতিমধ্যেই ২০-২৫ টি পুজো কমিটির সঙ্গে কথাবার্তা সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে উত্তর কলকাতার হাতিবাগান সার্বজনীন, টালা বারোয়ারি যেমন রয়েছে, তেমনি দক্ষিণ কলকাতার মধ্যে রয়েছে বেহালা এসবি পার্ক, চক্রবেড়িয়া সার্বজনীনের পুজো কমিটি। বনেদি পুজো উদ্যোক্তাদের মধ্যে শোভাবাজার রাজবাড়ির ভোগ খেতে পারবেন শহরবাসীরা। প্রত্যেক পুজো উদ্যোক্তাদের থেকেই ইতিবাচক আশ্বাস মিলেছে বলে জানিয়েছেন দেব। শুধুমাত্র আগেভাগে মোবাইলের পর্দায় অ্যাপটি খুলে বুক করতে হবে।

এখানেই শেষ নয়। ভোগ ছাড়াও অন্যান্য খাবারও অর্ডার দেওয়া যাবে এই অ্যাপের মাধ্যমে। বিভিন্ন স্ট্রিট ফুড যা আগে কোনও ফুড অ্যাপ সংস্থা সরবরাহ করত না তা করবে ইয়োটো। ফুচকা, লিট্টি, ঝাল-মুড়ি, চুরমুর ইত্যাদি পাওয়া যাবে এই অ্যাপে অর্ডার করলেই। সাথে তো বিরিয়ানি, মটন চাপ, চাউমিন, চিলি চিকেন, ফ্রায়েড রাইস রয়েছেই।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen