কল্যাণীতে করোনা ত্রাস! সংক্রমিত এক স্কুলের ২৯ ছাত্রী
এর পরই আর ঝুঁকি নিতে চাননি স্কুল কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার পরই আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্কুলে। এর পরই স্কুলের তরফে স্বাস্থ্য দপ্তরকে বিষয়টি জানিয়ে স্কুল চত্বরেই আরটিপিসিআর ক্যাম্প বসানো হয়।

করোনায় আক্রান্ত একই স্কুলের ২৯ পড়ুয়া। আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। নদিয়ার কল্যাণী জওহর নবোদয় কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের ঘটনা।
স্কুল সূত্রে খবর, গত ৭ ডিসেম্বর অভিভাবক-শিক্ষকদের একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকের পর দু’দিন আগে দুই পড়ুয়ার হালকা জ্বর এবং সর্দি-কাশির উপসর্গ ধরা পড়ে। তাদের সঙ্গে সঙ্গে জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজে কোভিড পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। রিপোর্টে কোভিড পজিটিভ আসে। এর পরই আর ঝুঁকি নিতে চাননি স্কুল কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার পরই আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্কুলে। এর পরই স্কুলের তরফে স্বাস্থ্য দপ্তরকে বিষয়টি জানিয়ে স্কুল চত্বরেই আরটিপিসিআর ক্যাম্প বসানো হয়।
প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমী নাগ বলেন, “যে হেতু ওই দু’জনের সংস্পর্শে আরও অনেকেই এসেছিল তাই বাকি পড়ুয়া এবং স্কুলের শিক্ষিকা এবং কর্মীদেরও কোভিড পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিই আমরা।মোট ৩২৪ জন পড়ুয়ার মধ্যে প্রথম দফায় ২১৫ জনের পরীক্ষা করানো হয়। বুধবার রিপোর্ট আসার পর দেখা যায় তাদের মধ্যে ২৭ জন কোভিড আক্রান্ত। তাদের মধ্যে তিন জনের হালকা সর্দি-কাশির লক্ষণ ধরা পড়েছে। বাকিরা সবাই উপসর্গহীন।”
প্রধান শিক্ষিকা আরও বলেন, “যে সব পড়ুয়ার নমুনা নেওয়া বাকি ছিল, তাদের প্রত্যেকের পরীক্ষা করানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে বোঝা যাবে আরও কেউ কোভিডে আক্রান্ত কি না।”
এক সঙ্গে এত জন পড়ুয়ার কোভিড সংক্রমণে স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে বাকি পড়ুয়া এবং তাদের অভিভাবকদের মধ্যে। এই অবস্থায় কি স্কুল খোলা রাখা হবে? এ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষিকা বলেন, “স্কুল খোলা রাখব আমরা। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে এ বিষয়ে রিপোর্ট পাঠাব। জেলা প্রশাসনকেও রিপোর্ট দেব। তারা যা নির্দেশ দেবে, সেটাই পালন করব।”