জল্পনা বাড়িয়ে বিজেপি মন্ত্রীর সাংগঠনিক বৈঠকে অনুপস্থিত দলের ৩ বিধায়ক

শনিবার দুপুরে বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার নেতা, দলের কর্মকর্তাদের নিয়ে জেলা কার্যালয়ে বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল।

July 31, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

স্থানীয় নেতৃত্বের বৈঠকে হাজির থাকতেন না তাঁরা। এমনকী, বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বৈঠকেও গরহাজির ছিলেন। এবার কেন্দ্রীয় জলশক্তি প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সাংগঠনিক সভায় গরহাজির রইলেন বিজেপির একাধিক নেতা, বিধায়ক (BJP MLA)। যার জেরে প্রশ্ন উঠছে বিজেপির অন্দরেই।

শনিবার দুপুরে বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার নেতা, দলের কর্মকর্তাদের নিয়ে জেলা কার্যালয়ে বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত। সেই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে দেখা মিলল না বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া, গাইঘাটার সুব্রত ঠাকুরের৷ পাশাপাশি এদিনের বৈঠকে দেখা যায়নি বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডল, কল্যাণ সরকার-সহ একাধিক নেতাকে৷

কেন তারা এলেন না? বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া জানিয়েছেন তিনি বেড়াতে গিয়েছেন। অনেক আগেই বেড়ানো পরিকল্পনা করা ছিল। কিন্তু বাগদার বিধায়ক, গাইঘাটার বিধায়ক, বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সম্পাদকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁদের অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “অনেকের ব্যক্তিগত কাজ বা পূর্ব পরিকল্পিত কর্মসূচি থাকতে পারে৷ যারা এসেছে তাঁদেরকে নিয়ে বৈঠক হয়েছে।”
দলের একাধিক সভায় নেতা বিধায়কদের অনুপস্থিত থাকার ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীরা। দলীয় সূত্রে খবর, বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে জেলা সভাপতি মনস্পতি দেবের বিরোধ চলছে। দুজনের অনুগামীরা এখন আড়াআড়িভাবে বিভক্ত। বিভিন্ন কর্মসূচিতে একপক্ষ গেলে আরেক পক্ষকে দেখা যায় না। সম্প্রতি বিজেপি রাজ্য সভাপতির বৈঠক-সহ একাধিক সাংগঠনিক বৈঠকে মনস্পতি দেব উপস্থিত থাকলেও দেখা যায়নি শান্তনু ঠাকুর ও তাঁর গোষ্ঠীর নেতা বিধায়কদের৷ গোটা ঘটনায় বিজেপি কর্মীরা বিভ্রান্ত। তাঁদের বক্তব্য, অবিলম্বে নেতৃত্বরা আলোচনায় বসে নিজেদের মধ্যে সমস্যা মিটিয়ে ফেলুক।

এ নিয়ে তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কো-অর্ডিনেটর গোপাল শেঠের কটাক্ষ “গতানুগতিক কথাই বলতে হয়। ভারতীয় জনতা পার্টির বনগাঁয় যা দুরবস্থা তাতে দলে কেউ থাকতে চাইছেন না। নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ আগে বাংলায় প্রতিদিন এসেছেন। এখন নিজেরা আসছেন না। অন্যদের পাঠাচ্ছেন।”

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen