১ শতাংশ ধনীর হাতে ৪০% GDP! মোদী আমলে ভারতে বৈষম্য চরমে, রিপোর্টে চাঞ্চল্য
ভারতের জনসংখ্যা ১৪০ কোটি। দেশের জিডিপি প্রায় ৪ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলার।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ৯:২২: ভারতের জনসংখ্যা ১৪০ কোটি। দেশের জিডিপি প্রায় ৪ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলার। গড়ে মাথাপিছু আয় দাঁড়ায় প্রায় ২০ হাজার টাকা।
তবে দেশের ধনী ১ শতাংশের হিসাব আলাদা। হুরুন ইন্ডিয়ার রিপোর্ট বলছে, মাত্র ৩০০ পরিবারের হাতে রয়েছে প্রায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি ডলার। টাকায় এই অঙ্ক ১৪০ লক্ষ কোটির বেশি। যা দেশের জিডিপির ৪০ শতাংশ।
২০২৫ সালেও সবচেয়ে ধনী পরিবার মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স গোষ্ঠী। তাঁদের সম্পদ ২৮ লক্ষ কোটি টাকা। একা এই পরিবারের হাতে দেশের জিডিপির ১২ শতাংশ।
আদানি পরিবারের সম্পদ ১৪.০১ লক্ষ কোটি টাকা। অর্থাৎ আম্বানিরা প্রায় দ্বিগুণ ধনী। প্রথম পাঁচটি ধনী পরিবারের মোট সম্পদ ৬০ লক্ষ কোটি টাকা।
গত এক বছরে আম্বানিদের সম্পদ বেড়েছে ১০ শতাংশ। প্রথম প্রজন্মের শিল্পোদ্যোগীদের মধ্যে শীর্ষে গৌতম আদানি। কুমার মঙ্গলম বিড়লা গোষ্ঠীর সম্পদ বেড়ে হয়েছে ৬.৪৭ লক্ষ কোটি টাকা, যা ২০ শতাংশ বৃদ্ধি। তাঁরা বহু প্রজন্মের ব্যবসায়ী পরিবারগুলির মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে উঠেছেন।
জিন্দাল পরিবারের সম্পদ বেড়েছে ২১ শতাংশ। তাঁরা তৃতীয় স্থানে। বাজাজ পরিবার নেমে গেছে চতুর্থ স্থানে। তাঁদের সম্পদ কমেছে ২১ শতাংশ।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ৩০০ পরিবার গত এক বছরে প্রতিদিন গড়ে ৭১০০ কোটি টাকার সম্পদ যোগ করেছে। ১০০ কোটি ডলারের বেশি সম্পদশালী পরিবারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬১।
এই তথ্য সামনে আসতেই কংগ্রেস সরব হয়েছে। দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশের অভিযোগ, গত ১১ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী কিছু শিল্পপতির সম্পদ বাড়াতেই ব্যস্ত।
বিরোধীদের দাবি, আর্থিক অগ্রগতির সুফল সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। বৈষম্য বড় অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
তাঁদের অভিযোগ, মাত্র পাঁচ পরিবারের হাতে দেশের জিডিপির ১৮ শতাংশ সম্পদ রয়েছে। কেন্দ্রের নীতিগুলি নির্দিষ্ট কিছু শিল্পপতির সুবিধার জন্যই তৈরি। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ছোট ও মাঝারি ব্যবসা, গরিব ও নিম্নবিত্ত মানুষ।
জয়রাম রমেশ বলেন, সরকারের প্রচারণা অর্থনৈতিক সমতার দাবি করলেও বাস্তব চিত্র ভিন্ন। ওই ৩০০ পরিবারের সম্পদ বাদ দিলে মাথাপিছু আয় নেমে আসে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার টাকায়।