কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলের পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি দেশে তৈরী ৪১টি জরুরি ওষুধ!

দেখা যায়, ১১৯২টি নমুনার গুণগত মান ঠিক থাকলেও ৪১টি নমুনার মান ঠিক নেই। অর্থাৎ নমুনা পরীক্ষায় পাশ করেনি সেই ওষুধগুলি। মোট পরীক্ষিত ওষুধের ৩.৩২ শতাংশ গুনগত মানে ঠিক নয়।

June 16, 2022 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

দেশের প্রথম সারির ওষুধ নির্মাতাদের তৈরি ৪১টি ওষুধ কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলের নমুনা পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি। কিছু অত্যন্ত জরুরি যেমন ওমিপ্রাজোল, ডোমপেরিডোন, নিফেডিপিন, রোসুভাস্টাটিন, সিপ্রোফ্লক্সাসিন প্রভৃতি ওষুধ এর মধ্যে রয়েছে।

কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল বা দি সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও) প্রতি মাসে দেশজুড়ে বিভিন্ন ওষুধ ও চিকিৎসা যন্ত্রের নমুনা পরীক্ষা করে । মে মাসে সিডিএসসিও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এমন ১২৩৩টি নমুনা সংগ্রহ করে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় গবেষণাগারে তা পরীক্ষার জন্য পাঠায়। দেখা যায়, ১১৯২টি নমুনার গুণগত মান ঠিক থাকলেও ৪১টি নমুনার মান ঠিক নেই। অর্থাৎ নমুনা পরীক্ষায় পাশ করেনি সেই ওষুধগুলি। মোট পরীক্ষিত ওষুধের ৩.৩২ শতাংশ গুনগত মানে ঠিক নয়।

জানা যাচ্ছে, পাশ না করা ৪১টি ওষুধের তালিকায় রয়েছে হিমাচল প্রদেশের বাড্ডিতে তৈরি একটি নামকরা ওষুধ কোম্পানির ওমিপ্রাজোল (গ্যাস, পেট খারাপ ও পেপটিক আলসারের ওষুধ) ও ডোমপেরিডোন (বমির ওষুধ)-এর নির্দিষ্ট ব্যাচের ওষুধ। আছে আরেকটি নামকরা ওষুধ নির্মাতা সংস্থার জম্মু ও কাশ্মীরের কারখানায় তৈরি নির্দিষ্ট ব্যাচের নিফেডিপিন (হার্টের ওষুধ)। উত্তরাখণ্ডে আরেকটি সংস্থার কারখানায় তৈরি রোসুভাস্টাটিন, ক্যালসিয়ামও রয়েছে এই তালিকায়। শুধু বেসরকারি ফার্মা সংস্থা‌ নয়, দক্ষিণের এক রাজ্যের সরকার পোষিত ওষুধ কোম্পানির সিপ্রোফ্লক্সাসিন হাইড্রোক্লোরাইড ৫০০ এমজি (অ্যান্টিবায়োটিক) এবং ফ্লুকোনাজোল ১৫০ এমজি (অ্যান্টিফাঙ্গাল) আছে এই তালিকায়।

ড্রাগ কন্ট্রোল সূত্রের খবর, উদ্বেগের বিষয় হল, গত কয়েক মাসে নিম্নমানের বা ‘ফেল’ করা ওষুধের সংখ্যা বেড়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen