উপনির্বাচনের আগেই শান্তিপুরে ভাঙন বিজেপিতে
মহুয়া বলেন, অনেকেই বিজেপিতে থেকে মানুষের হয়ে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছিলেন না। তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে শামিল হতে চেয়েছিলেন। এদিন তাঁদের দলে নেওয়া হয়েছে। যদিও রানাঘাটের সাংসদ তথা বিজেপি নেতা জগন্নাথ সরকার বলেন, বিজেপি নির্দিষ্ট আদর্শ নিয়ে চলে। অনেকে শারীরিকভাবে তৃণমূলে গেলেও তাঁদের মন বিজেপিতেই রয়েছে। শান্তিপুরের মানুষ সন্ত্রাসমুক্ত ও স্বজনপোষণের বিরুদ্ধে রায় দিয়ে আবারও আমাদের প্রার্থীকে জেতাবেন।
Authored By:

শান্তিপুরে উপনির্বাচনের আগে ফের বিজেপিতে ভাঙন। শুক্রবার বাবলা গ্রাম পঞ্চায়েতের এলাকার প্রায় ৫০ জন বিজেপি কর্মী কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রর হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন। এদিন তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কর্মী বৈঠক করেন সাংসদ। প্রথমটি হয় বাবলা গ্রাম পঞ্চায়েতে। এরপর বেলঘড়িয়া-২ ও বেলঘড়িয়া-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে তিনি কর্মী বৈঠক করেন। বাবলা পঞ্চায়েতের বৈঠক চলাকালীন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা তৃণমূলে যোগদান করেন।
মহুয়া বলেন, অনেকেই বিজেপিতে থেকে মানুষের হয়ে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছিলেন না। তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে শামিল হতে চেয়েছিলেন। এদিন তাঁদের দলে নেওয়া হয়েছে। যদিও রানাঘাটের সাংসদ তথা বিজেপি নেতা জগন্নাথ সরকার বলেন, বিজেপি নির্দিষ্ট আদর্শ নিয়ে চলে। অনেকে শারীরিকভাবে তৃণমূলে গেলেও তাঁদের মন বিজেপিতেই রয়েছে। শান্তিপুরের মানুষ সন্ত্রাসমুক্ত ও স্বজনপোষণের বিরুদ্ধে রায় দিয়ে আবারও আমাদের প্রার্থীকে জেতাবেন।
উল্লেখ্য, গত বিধানসভা নির্বাচনে শান্তিপুর কেন্দ্রটি হাতছাড়া হয় শাসকদলের। জয়ী হন সাংসদ জগন্নাথ সরকার। তবে সামগ্রিকভাবে দলের ফল ভালো না হওয়ায় জগন্নাথবাবু সাংসদ পদেই বহাল থাকেন। যে কারণে এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে। এবার এই কেন্দ্রটি নিজেদের দখলে আনতে মরিয়া হয়ে উঠেছে শাসকদল।
এদিন কর্মিসভা থেকে মহুয়া কর্মীদের জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে লড়াইয়ের ডাক দেন। তিনি বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নেতাদের প্রতি অনেকের রাগ, অভিমান থাকতেই পারে। কিন্তু, সেই সব অভিমান ভুলে শান্তিপুরের প্রার্থীকে আমাদের জেতাতে হবে। কারণ, আমরা প্রত্যেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের সৈনিক। পাশাপাশি বৈঠকে তিনি গত বিধানসভা নির্বাচনের বুথভিত্তিক ফলাফল তুলে ধরে ভোটব্যাঙ্ক কীভাবে বৃদ্ধি করা যাবে, সেই সম্পর্কে কর্মীদের অবগত করেন