বাংলা শস্যবিমা প্রকল্পে নথিভুক্তকরণে নজির, কৃষক স্বার্থরক্ষায় বদ্ধপরিকর রাজ্য

আজ ৩১ আগস্ট ধানের জন্য শস্যবিমার আবেদন করার সময়সীমা শেষ হচ্ছে। প্রসঙ্গত, খরিফ মরশুমে ধান ও ভুট্টা রাজ্যের শস্যবিমার আওতায় পড়ে।

August 31, 2022 | < 1 min read

Authored By:

Drishti Bhongi Drishti Bhongi

রাজ্য সরকার কৃষকদের স্বার্থরক্ষায় বদ্ধপরিকর, সেই কারণেই কৃষক বন্ধু থেকে শুরু করে শস্যবিমা; কৃষকদের জন্যে একাধিক প্রকল্প নিচ্ছে রাজ্য। তেমনই একটি প্রকল্প হল বাংলা শস্যবিমা প্রকল্প। যা ইতিমধ্যেই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বিগত খারিফ মরশুমের তুলনায় এবার অনেক বেশি কৃষক বাংলা শস্যবিমা প্রকল্পের আওতায় নাম নথিভুক্ত করেছেন। সংখ্যাটা নেহাত কম নয়, প্রায় নয় লক্ষ। বিগত মরশুমে ৪৫ লক্ষ কৃষক নাম নথিভুক্ত করেছিলেন। শস্যবিমা প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থা তরফে জানা গিয়েছে, এবার ইতিমধ্যেই ৫৩ লক্ষ কৃষক (Farmers) নাম নথিভুক্তি করিয়েছেন। মনে করা হচ্ছে, সংখ্যাটি আরও বাড়তে পারে। কারণ চূড়ান্ত পরিসংখ্যান এখনও মেলেনি।

আজ ৩১ আগস্ট ধানের জন্য শস্যবিমার আবেদন করার সময়সীমা শেষ হচ্ছে। প্রসঙ্গত, খরিফ মরশুমে ধান ও ভুট্টা রাজ্যের শস্যবিমার আওতায় পড়ে। ভুট্টার ক্ষেত্রে ৩১ জুলাই অবধি বিমা করার সময়সীমা রয়েছে। বাংলা শস্যবিমা প্রকল্পের প্রিমিয়ামের খরচ পুরোটা‌ই রাজ্য সরকার বহন করে, এক্ষেত্রে কৃষকদের কোন টাকা দিতে হয় না। ব্যাঙ্ক বা সমবায় সংস্থা থেকে কোনরকম ঋণ নিয়ে চাষ করার বিমা করা বাধ্যতামূলক। আগে ঋণের অর্থের মধ্যেই বিমার প্রিমিয়ামের টাকা নেওয়া হত। কৃষিদপ্তরের উদ্যোগে এখন আর তা হয় না।

কৃষিবিমা সংস্থা তরফে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন জেলায় বেশি সংখ্যক চাষিকে শস্যবিমার আওতায় আনতে উদ্যোগ নিয়েছিল। সংখ্যা বলছে, যার সুফল পাওয়া গিয়েছে। চলতি বছর বৃষ্টি কম হওয়ায় কারণে ধান চাষ বিঘ্ন হওয়ার আশঙ্কায় শস্যবিমা (Bangla Shasya Bima) করানোর বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছিল। জানা বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া জেলায় ইতিমধ্যেই বিমার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে গিয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen