বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে ৫ হাজার কর্মী নিয়োগ করবে মমতার সরকার

এই সংস্থাটি বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত কাজের জন্য চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ করে থাকে। বাংলা সহায়তা কেন্দ্রেও সেই একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে।

August 23, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

অনলাইনে মিলছে বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা। কিন্তু সাধারণ মানুষ এখনও এই ব্যবস্থায় সড়গড় নন। তাঁদের হাতের নাগালে সেই পরিষেবা পৌঁছে দিতে চালু হচ্ছে ‘বাংলা সহায়তা কেন্দ্র’। রাজ্য বাজেটে ঘোষিত এই প্রকল্পের জন্য এবার প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। গোটা রাজ্যে মোট ২ হাজার ৭১১টি কেন্দ্র চালু করা হবে। প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য দু’জন করে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকারি সংস্থা ‘ওয়েবেল টেকনোলজি লিমিটেড’ (ডব্লুটিএল)। সম্প্রতি সংস্থার চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় প্রত্যেক জেলাশাসককে চিঠি দিয়ে এই কর্মী নিয়োগের কথা জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, গোটা প্রকল্পটি রূপায়ণের দায়িত্বে রয়েছে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তর। তারাই নিয়োগের বিষয়টি ডব্লুটিএলের হাতে তুলে দিয়েছে। এই সংস্থাটি বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত কাজের জন্য চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ করে থাকে। বাংলা সহায়তা কেন্দ্রেও সেই একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে।

ডব্লুটিএলের পক্ষ থেকে জেলাশাসকদের জানানো হয়েছে, বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের পরিকাঠামো প্রস্তুত থাকলে এখনই কর্মীদের সেখানে পাঠানো হবে। অন্যথায় পরিকাঠামো তৈরির পর যাবেন কর্মচারীরা। প্রতি কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তুলতে ৯৫ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। জেলাশাসকদের তা খরচের অনুমোদন দিয়েছে পঞ্চায়েত দপ্তর। ওই টাকায় দু’টি ইন্টারনেট সংযোগ থাকা কম্পিউটার, একটি স্ক্যানার-প্রিন্টার, আসবাবপত্র কেনা হবে। এই প্রকল্পের জন্য চলতি আর্থিক বছরে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণা বাজেটে করা হয়েছে। বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের জন্য পৃথক কোনও ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে না। বিডিও, এসডিও এবং জেলাশাসকের অফিসের পাশাপাশি সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত লাইব্রেরি, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও গ্রামীণ হাসপাতালে এগুলি চালু করা হবে। তালিকা অনুযায়ী, এর মধ্যে ৯০৬টি চালু হচ্ছে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। এছাড়া ৭৮টি লাইব্রেরিতেও গড়া হবে সহায়তা কেন্দ্র। তবে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও লাইব্রেরির স্বাভাবিক পরিষেবা যাতে বিঘ্নিত না হয়, সেদিকে নজর রাখার দাবি উঠেছে। রাজ্য সরকারি কর্মী সংগঠনের প্রবীণ নেতা মনোজ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, গ্রামে বহু সরকারি লাইব্রেরি কর্মীর অভাবে নিয়মিত খোলে না। অনেক লাইব্রেরি পাকাপাকি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সহায়তা কেন্দ্র ভালো উদ্যোগ হলেও, এটি চালু হলে লাইব্রেরিগুলির ভবিষ্যৎ নিয়ে একটা আশঙ্কা থাকছে।

বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলিতে জাতিগত শংসাপত্র করানো, সরকারি বিভিন্ন ফি জমা, কন্যাশ্রী সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের জন্য অনলাইনে আবেদন করা যাবে। গ্রামীণ এলাকায় এই কেন্দ্রগুলি তৈরি করা হয়েছে। রাজ্যের মধ্যে সবথেকে বেশি, ২০৫টি কেন্দ্র হচ্ছে মুর্শিদাবাদে। এরপর রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা (১৯৮) এবং হুগলি (১৮০)। তবে এই তালিকায় কলকাতা নেই।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen