অধিকাংশ মানুষই এখন সরকারি হাসপাতালে অনলাইনে আউটডোরের টিকিট কাটাছেন
এই সমস্যার সুরাহা করতেই রাজ্যজুড়ে চালু হয়েছিল ‘ডিজিটাল হেলথ’ অথবা ‘ইন্টিগ্রেটেড হেলথ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সরকারি হাসপাতালের আউটডোরের সামনে ভোর থেকেই টিকিটের জন্য লম্বা লাইন পড়ে। এর ফলে যে সমস্ত রোগীরা দূরদূরান্ত থেকে আসেন ডাক্তার দেখাতে তাঁদের অনেক সময়ই লম্বা লাইন পেরিয়ে টিকিট পেতে এতটাই দেরি হয়ে যায় যে ততক্ষণে হয়তো চলেই গিয়েছেন ডাক্তারবাবু। ফলে, একরকম গোটা দিনটা নষ্ট।
এই সমস্যার সুরাহা করতেই রাজ্যজুড়ে চালু হয়েছিল ‘ডিজিটাল হেলথ’ অথবা ‘ইন্টিগ্রেটেড হেলথ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’। যাতে সরকারি হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শুরু অনলাইনে আউটডোরে টিকিট কাটার সুবিধা পাচ্ছেন রোগীরা।
তবে কিছু ক্ষেত্রে অসুবিধা হল, প্রিন্ট করার সুবিধা না-থাকায় বিভিন্ন হাসপাতালের আশপাশে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে ছোট ছোট দোকান। অনলাইন টিকিট করে দিতে তারা এক-একজনের কাছ থেকে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছে। তবে ভালো-মন্দ মিলিয়েই অনলাইন টিকিটের দিকেই পাল্লা ভারী। রাজ্যজুড়ে বাড়ছে অনলাইন আউটডোর টিকিট কাটার প্রবণতা। দপ্তর সূত্রের খবর, ২০১৮ সালের ২০ ডিসেম্বর স্বাস্থ্যদপ্তর প্রথম অনলাইনে আউটডোর টিকিট ইস্যু করে। মোবাইল নম্বর ও ওটিপি যুক্ত এই ব্যবস্থার সুবিধা ভোগ করেছেন এখনও পর্যন্ত ৬১ লক্ষাধিক মানুষ! রোজ গড়পড়তা ১৩-১৫ হাজার মানুষ কাউন্টারের বদলে আউটডোর টিকিট হাতে নিয়ে সরকারি জায়গায় ডাক্তার দেখাচ্ছেন।