প্রধানমন্ত্রী মোদীর স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে একযোগে মহাত্মা গান্ধী, সাভারকর! শুরু জল্পনা
আজ ৭৬তম স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রীর জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে তাৎপর্যপূর্ণভাবে একই সঙ্গে উঠে এল গান্ধীজি, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, বাবাসাহেব অম্বেডকর, এবং বিনায়ক দামোদর সাভারকরের নাম।

দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে স্বাধীনতা দিবস। আজ ৭৬তম স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রীর জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে তাৎপর্যপূর্ণভাবে একই সঙ্গে উঠে এল গান্ধীজি, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, বাবাসাহেব অম্বেডকর, এবং বিনায়ক দামোদর সাভারকরের নাম। একাসনে মহাত্মা গান্ধী ও সাভারকর, এই বক্তব্যকে ঘিরে স্বভাবতই জল্পনা ছড়িয়েছে। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ দেশবাসী মহাত্মা গান্ধী, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, বীর সাভারকরের প্রতি কৃতজ্ঞ। তাঁরা স্বাধীনতার জন্য নিজেদের প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলেন।”
প্রধানমন্ত্রীর স্বাধীনতা দিবসে ভাষণে কেবল সাভারকরই নন, হিন্দুত্ববাদীদের আরেক আইকন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কেও এদিন সম্মান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সম্মান জানাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে হিন্দুত্ববাদীদের নায়ক বীর সাভারকর ও শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নাম উঠে আসায়, বিতর্ক জড়িয়ে গেল দেশের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানেও। আজকের দিন ফের আঘাত প্রাপ্ত হল ভারতের ধর্ম নিরপেক্ষতা।
বিরোধীদের অভিযোগ, বিজেপি আমলে দেশজুড়ে হিন্দুত্ববাদীদের অলিখিত শাসন চলছে। বিজেপির নেতা মন্ত্রীরা নিত্যদিন ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র গড়ার ডাক দিয়ে যাচ্ছেন। মন্দির মসজিদ বিতর্ক, রাম মন্দির থেকে শুরু করে, তাজমহল, কাশী বিশ্বনাথ ও জ্ঞানবাপী মসজিদ ইত্যাদি বিতর্ক মধ্যে ক্রমশ ভারতকে হিন্দুরাষ্ট্রে পরিণত করার পথ প্রশস্ত করা হচ্ছে বলেই মনে করছেন কেউ কেউ। দেশের সম্প্রীতি বিঘ্নিত। প্রসঙ্গত, গতকাল সঙ্ঘের প্রধান মোহন ভগবত বলেছিলেন, আর মাত্র ১৫ বছর। তার মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে অখণ্ড ভারত। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যারা অখণ্ড অন্তরায় হবে, তারা ধ্বংস হয়ে যাবে।
আজ স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে সেই প্রতিধ্বনিই শোনা গেল মোদীর কণ্ঠে, মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে সাভারকরকে একাসনে বসিয়ে জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিলেন মোদী।