Modi-Rahul ৮৮ মিনিটের ‘বৈঠক’, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ লোকসভার বিরোধী দলনেতার

December 11, 2025 | 2 min read
Published by: Ritam

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১১:২৪: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi) ও বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) মধ্যে বুধবার ৮৮ মিনিটের বৈঠক হয়। যা ঘিরে তুঙ্গে জল্পনা। জানা যাচ্ছে, বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল নতুন প্রধান তথ্য কমিশনার (Chief Information Commissioner) নির্বাচন সংক্রান্ত আলোচনা। বৈঠক এত সময় ধরে যে চলবে, তা কেউ-ই আশা করেননি। উল্লেখ্য, রাহুল লোকসভার বিরোধী দল নেতা হওয়ায় পদাধিকার বলে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একাধিক কমিটির বৈঠকে হাজির থাকতে হয় তাঁকে।

সূত্রের খবর, রাহুল গান্ধী বৈঠকে নানান বিষয়ে কথা তোলেন। যা নিয়ে আলোচনায় দীর্ঘ সময় গড়িয়ে যায়। বৈঠকে রাহুল কেন্দ্র সরকারের দেওয়া একাধিক তথ্য, পরিসংখ্যান পেশ করে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করেন, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে জাত বৈষম্য চলছে। সংখ্যালঘুদের প্রতি সুবিচার করা হচ্ছে না। তথ্য ও ভিজিলেন্স কমিশনার নিয়োগের জন্য আবেদনকারীদের জাত ও ধর্মীয় পরিচয় জানতে চেয়ে দিন কয়েক আগে সরকারকে চিঠি দিয়েছিলেন বিরোধীদল নেতা। ‌বুধবার বিরোধী দল নেতাকে তা জানায় সরকার। তাতে দেখা যায়, তপশিলি জাতি, উপজাতি অন্যান্য অনুন্নত শ্রেণি এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মিলিয়ে মোট ৭ জন আবেদন করেছেন। তাঁদের থেকে মাত্র একজনকে চূড়ান্ত বিবেচনার জন্য নির্বাচন করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, বৈঠকে রাহুল গান্ধী জোরালো প্রশ্ন তোলেন। তাঁর অভিযোগ, তপশিলি এবং সংখ্যালঘু ওবিসিদের মধ্যে অনেক যোগ্য অফিসার রয়েছেন। কিন্তু নানাভাবে তাদেরকে প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসতে দেওয়া হচ্ছে না।‌

শোনা যাচ্ছে, বুধবারের বৈঠকে রাহুল দাবি করেন, চূড়ান্ত পর্বের জন্য যে অফিসারদের নাম নির্বাচন করা হয়েছে তাঁদের অনেকের অতীত ভাল নয়। দায়িত্ব পালনে তারা নিয়ম-কানুন লঙ্ঘন করেছেন বলে অভিযোগ বিরোধী দলনেতার।‌ সূত্রের খবর, রাহুল গান্ধী বৈঠকে প্রস্তাবিত সব নিয়োগের বিরোধিতা করেছেন। আপত্তির কথা লিখিতভাবে জমা দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, তথ্য কমিশনার এবং ভিজিলেন্স কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনার জন্য বুধবার প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের কমিটি বৈঠকে বসেছিল। প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতা ছাড়াও তৃতীয় সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। নিয়ম অনুযায়ী, তথ্য কমিশন, নির্বাচন কমিশন এবং ভিজিল্যান্স কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলিতে নিয়োগের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি কমিটি সিদ্ধান্ত নেয়। প্রসঙ্গত, কমিটিতে থাকেন—প্রধানমন্ত্রী, তাঁর মনোনীত এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen