ত্রিপুরায় গুন্ডারাজ,মনোনয়ন প্রত্যাহারে তৃণমূল কর্মীকে মারধর, বাড়ি ভাঙচুর
ত্রিপুরায় (Tripura) ফের আক্রান্ত পুরভোটের তৃণমূল প্রার্থী। মহিলা প্রার্থী বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি ছেলেকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিজেপি (BJP) বিধায়কের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের দাবি, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিচ্ছে বিজেপি। কিন্তু চাপে পড়ে কোনও প্রার্থীই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি বলে জানিয়েছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
তৃণমূল কংগ্রেসের আহ্বায়ক সুবল ভৌমিক জানিয়েছেন, মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য ১১ জন প্রার্থীর উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। তাঁদের বাড়িতে হামলা করা হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন সম্পা মল্লিক। তাঁর বাড়িতে চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। এমনকী, তাঁর ছেলেকেও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। কিন্তু চাপ ও হুমকির মুখে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা অনড় রয়েছেন।
সুবল ভৌমিক জানিয়েছেন, পুর ও নগর ভোটের নির্বাচনে তৃণমূলের কোনও প্রার্থীই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেনি। আগরতলা পুরনিগমে ৫১টি মনোনয়নের মধ্যে ৫১টিই বহাল রয়েছে। সিপিএম পাঁচটি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছে। কংগ্রেস প্রত্যাহার করেছে দু’টি কেন্দ্র থেকে। এদিকে জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল। যদিও তাদের কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেব বলেছেন, “যারা সকালে এসে বিকালে চলে যায় তাঁদের থেকে দূরে থাকতে হবে।”
চলতি মাসের শেষেই ত্রিপুরায় পুরভোট। এই প্রথমবার পড়শি রাজ্যের পুরভোটে লড়াই করছে তৃণমূল। সে রাজ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে বিকল্প হিসেবে তৃণমূলকে পছন্দ করছে বলে দাবি ঘাসফুল শিবিরের। সেইমতো বহু আসনেই প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। কিন্তু মনোনয়ন পেশ করার পর থেকেই সমস্যা শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, টাকার লোভ দেখিয়ে তৃণমূল প্রার্থীদের মনোনয়ন তুলে নিতে বাধ্য করা হচ্ছে। আবার বহু প্রার্থীকে ভয় দেখানো হচ্ছে। বাদ পড়ছে না প্রার্থীদের পরিবারও।
দিন কয়েক আগে বিলোনীয় পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী দোলন দাসের বাবাকে অপহরণ করা হয়। অভিযোগ, দোলন দাসের বাবা শ্যামল দাসকে কয়েকজন দুষ্কৃতী অপহরণ করে। ফোন করলেও কথা বলতে দেওয়া হয়নি। উলটে চাপ দেওয়া হয়েছে। দুষ্কৃতীরা দাবি করেছিল, দোলন দাস প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করলেই শ্যামলবাবুকে মুক্তি দেওয়া হবে।