ভিআইপি হেলিকপ্টার ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগল কংগ্রেস
‘মোদীজির সঙ্গে গোপন চুক্তিটা কী হল যে ইতালি থেকে ফেরার পরেই নিষেধাজ্ঞা উঠে গেল?’ ভিআইপি হেলিকপ্টার ইস্যুতে সোমবার এই মর্মেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগল কংগ্রেস। রাজনৈতিক আলোচনায় ফিরে এল অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ডের চপার। ওই হেলিকপ্টার ইস্যুতে ২০১৯ সালের ভোটের প্রচারে কংগ্রেসকে ব্যাপক কোণঠাসা করেছিল বিজেপি। রাফাল যুদ্ধবিমান ইস্যুতে মোদিকে টার্গেট করে কংগ্রেসের ‘চৌকিদার চোর হ্যায়ে’র পাল্টা দিতে নরেন্দ্র মোদির অভিযোগ ছিল অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড চুক্তিতে টাকা খেয়েছে কংগ্রেস। অমিত শাহর বক্তব্য ছিল, ওই কোম্পানি জালিয়াত। প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রয়াত মনোহর পারিক্করের অভিযোগও ছিল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।
অথচ সেই মোদী সরকারই এখন ফের নতুন করে অগুস্তা ফিনমেকানিকার (এখন নাম লিওনার্দো স্পা) উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে বলে খবর। আর তা সামনে আসতেই মোদী সরকারকে চেপে ধরতে তেড়েফুঁড়ে নামল সোনিয়া গান্ধীর দল। কটাক্ষের সুরে রাহুল গান্ধী বললেন, আগে অগুস্তা দুনীর্তিগ্রস্ত ছিল। এখন বিজেপির লন্ড্রিতে ধুয়ে সাফ হয়ে গেছে। আর সেই কারণেই প্রধানমন্ত্রীর ইতালি সফরের পরই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হল। সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে এআইসিসির মঞ্চ থেকে আক্রমণ চড়ানো হয়েছে। এদিন ছিল ৮ নভেম্বর, নোটবন্দির পাঁচ বছর। তা সত্ত্বেও নোটবন্দি ইস্যুতে সমালোচনার সুর না চড়িয়ে কংগ্রেস, মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাল ভিআইপি চপার ইস্যুতে। দলের মুখপাত্র অর্থনীতিবিদ গৌরব বল্লভের চাঁচাছোলা মন্তব্য, ‘চোরের মায়ের বড় গলা!’ তিনি জানান, ইউপিএ সরকার ২০১০ সালের গ্লোবাল টেন্ডারের মাধ্যমে ৩ হাজার ৫৪৬ কোটি টাকা দিয়ে অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ডের কাছ থেকে ১২টি হেলিকপ্টার কেনা চূড়ান্ত করেছিল। প্রাথমিকভাবে এই চুক্তিতে দেওয়া হয় ১,৬২০ কোটি টাকা। কিন্তু ২০১৩ সালে মিডিয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। তৈরি হয় জেপিসি। ২০১৪ সালে অগুস্তার সঙ্গে চুক্তি বাতিল হয়। ইতালির আদালতে মামলায় জিতে ইউপিএ সরকার ওই কোম্পানির থেকে ২ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা আদায় করেছে।