অর্থ-নারী চক্রে ফেঁসেছে বিজেপি! বিতর্কিত টুইটের জন্য তথাগতর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের
টুইটারে একের পর এক বোমা ফাটিয়েছেন তথাগত রায়। আর বিজেপি নেতার সাম্প্রতিকতম টুইটটিকে হাতিয়ার করেই এবার তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হল এফআইআর।
সোমবারই টুইটে বিস্ফোরক দাবি করেন তথাগত রায় (Tathagata Roy)। বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা বারবার মাইক্রো ব্লগিং সাইটে দলীয় সংস্কার নিয়ে সুর চড়ান। গেরুয়া শিবিরের নেতার দাবি, “দলকে অর্থ এবং নারী চক্র থেকে টেনে বের করে আনা আবশ্যক।” যা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে দলের অন্দরেও। সেই টুইটকেই সামনে এনে সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় নামে কলকাতা হাই কোর্টের (Kolkata High Court) এক আইনজীবী তথাগত রায়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
চিঠিতে তিনি লিখেছেন, “আমি জানতে পারি ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায় অভিযোগ করেন, ২০২১ সালে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি অনৈতিকভাবে অর্থ ও নারী আদান প্রদান করেছে। পরবর্তী সময় তিনি তাঁর অফিসিয়াল টুইটারে এ কথা লেখেনও। পাশাপাশি তাঁর আরও অভিযোগ, বাংলায় বিজেপি নেতারা নারী চক্রে জড়িয়ে পড়েছেন। ইতিমধ্যেই নারী সংক্রান্ত অপরাধে গেরুয়া শিবিরের নেতাদের বিরুদ্ধে মহিলা কমিশনে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। একজন নাগরিক হিসেবে গোটা ঘটনা আমায় ভাবিয়েছে। এধরনের অভিযোগ আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। তাই বিষয়টি তদন্ত করে দেখার আবেদন জানাচ্ছি।”
সোমবার তথাগত রায় টুইট করেছিলেন, “৩ থেকে ৭৭ (এখন ৭০) গোছের আবোল তাবোল বুলিতে পার্টি পিছোবে, এগোবে না। অর্থ এবং নারীর চক্র থেকে দলকে টেনে বার করা অত্যাবশ্যক। দলের নবনিযুক্ত সভাপতি ও বিরোধী দলনেতা – এঁরা দুজনে নেতৃত্ব দিন। পুরোনো চক্রে ফেঁসে থাকলে এখন যে পুরভোটের প্রার্থী পাওয়া যাচ্ছে না এরকম অবস্থাই চলবে।” তাঁর এই টুইট মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল পদ্মশিবিরে। এবার তো বিষয়টি তদন্তের দাবিও উঠল।
উল্লেখ্য, এর আগে রবিবারও টুইটারে তোপ দাগেন তথাগত রায়। স্বেচ্ছায় যে তিনি বিজেপি ছাড়ছেন না, তা স্পষ্ট করে দেন। সেই সঙ্গে হুঁশিয়ারিও দেন। বলেন, দল ছাড়তে পারলে অনেকের অনেক গোপন কীর্তিই তিনি ফাঁস করে দেবেন।