রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

পূর্ব বর্ধমানের ২৭৬টি স্কুলের মিডডে মিলের রান্নাঘর, ডাইনিং হলের জন্য রাজ্য সরকারের বরাদ্দ ৩৬ কোটি

November 10, 2021 | 2 min read

দীর্ঘ করোনা আবহে স্কুলগুলি বন্ধ থাকায় বিভিন্ন স্কুলের বিল্ডিং, চেয়ার-টেবিল, দরজা, জানালা উইয়ের কবলে পড়ে ও অন্যান্য প্রাকৃতিক কারণে নষ্ট হয়েছে। বেশিরভাগ স্কুলে মিডডে মিল রান্নার জায়গাও অস্থায়ীভাবে তৈরি করা ছিল। সেগুলিও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে নষ্ট হয়েছে। এবার প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক স্কুলে মিডডে মিল রান্না এবং পরিবেশনের জন্য ‘ডাইনিং হল’ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হল। পূর্ব বর্ধমানের ২৭৬টি প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দু’টি মডেলের মাধ্যমে এই কাজ শেষ হবে। রাজ্য সরকার এই কাজের জন্য মোট সাড়ে ৩৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।


জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলার প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির মধ্যে মোট ২৭৬টি স্কুলকে বেছে নেওয়া হয়েছে। দু’টি মডেলে ভাগ করে কাজ শুরু হবে। প্রথম মডেলের ৬০ জন পড়ুয়ার বসার জন্য ডাইনিং হল তৈরি হবে মোট ১৮৯টি স্কুলে। যার মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৬০টি। উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ২৯টি। প্রথম মডেলের কাজের জন্য মোট ২১ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দ্বিতীয় মডেলে ১২০ জন পড়ুয়ার বসার জন্য মোট ৮৭টি স্কুলে নির্মাণ হবে কিচেন ও ডাইনিং রুম। যার জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১৫ কোটি ৩১ লক্ষ টাকা। ১৫ নভেম্বরের মধ্যে  টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য তৎপর জেলা প্রশাসন।

জেলার অধিকাংশ প্রাইমারি ও আপার প্রাইমারি স্কুলে অধিকাংশ জায়গায় বারান্দায়, না হলে স্কুলপ্রাঙ্গণে পড়ুয়াদের খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হতো। অস্থায়ীভাবে কোনও জায়গায় রান্নার ব্যবস্থা করতে হতো। যার ফলে স্কুলের সৌন্দর্যায়নের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হয়। এবার এই হল তৈরি হলে রান্না ও পড়ুয়াদের বসে খাওয়ার যে জায়গার সমস্যা ছিল, তার সুরাহা হবে বলেই মনে করছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে প্রত্যেকটি স্কুলের কাছে জায়গা চাওয়া হয়েছিল। সেই জায়গা ও আবেদন খতিয়ে দেখে জেলার ২৭৬টি স্কুলে এই হল বানানোর প্রস্তাব যায়। পুজোর পরেই টাকা চলে আসায় দ্রুত কাজ শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। ১৬ নভেম্বর থেকে খুলতে চলেছে স্কুল কলেজ। এই ঘোষণার পরপরই রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল-কলেজে শুরু হয়েছে জোর তৎপরতা।

ইতিমধ্যেই প্রতিটি স্কুল ও কলেজে শুরু হয়েছে স্যানিটাইজেশন প্রক্রিয়া। দীর্ঘদিন বন্ধ হয়ে পড়ে থাকায় অনেক বিদ্যালয়ে বিল্ডিং ও ক্লাসরুমে বিভিন্ন ক্ষতি হয়েছে। সেইসব মেরামতির কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। এদিকে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলি খোলার জন্য নির্দিষ্ট কোনও দিন ঘোষণা না হওয়ায়, এখনই কিচেন ও ডাইনিং হল তৈরির নির্মাণ কাজ এগিয়ে রাখতে চাইছে জেলা প্রশাসন। জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা বলেন, জেলার যেসব প্রাইমারি ও আপার প্রাইমারি স্কুলে ডাইনিং হল এবং কিচেন নিয়ে সমস্যা আছে, তার রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছিল। তারপর ডাইনিং হল বানানোর জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়। এবার দু’টি মডেলে কাজ শুরুর জন্য টাকা এসেছে। দ্রুত কাজ শুরু করার জন্য আগামী সপ্তাহেই টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হবে ।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#dining table, #West Bengal, #mid Day Meal, #kitchen

আরো দেখুন