প্রস্তুত নকশা, কলকাতার বুকে তৈরি হবে আরও একটি স্কাইওয়াক
মেট্রো স্টেশন থেকে যে সমস্ত যাত্রীরা নামবেন তাঁদের কথা মাথায় রেখেই মূলত এই স্কাইওয়াক তৈরি হচ্ছে।

শহরে তৈরি হচ্ছে আরও একটি স্কাইওয়াক। দক্ষিণেশ্বরে স্কাইওয়াক তৈরি হয়েছে বছর কয়েক আগে। চলছে কালীঘাটে স্কাইওয়াক তৈরির কাজ। এবার আরও এক স্কাইওয়াক পাবে শহরবাসী।
জানা গিয়েছে, এবার রুবি হাসপাতালের মোড়ের কাছে তৈরি হচ্ছে নতুন এই স্কাইওয়াক। ওই মোড়ের কাছেই তৈরি হয়েছে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় মেট্রো স্টেশন। সেই মেট্রো স্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত রেখে তৈরি করা হবে এই স্কাইওয়াক। মেট্রো স্টেশন থেকে যে সমস্ত যাত্রীরা নামবেন তাঁদের কথা মাথায় রেখেই মূলত এই স্কাইওয়াক তৈরি হচ্ছে।
গুরুত্বপূর্ণ এই জায়গা দিয়ে প্রত্যেক দিন যাতায়াত করেন বহু মানুষ। অনেকেই এখানে বাস বা অটো ধরার জন্য অপেক্ষা করেন। ওই মোড়ে চার দিকে আসা রাস্তার সংযোগস্থল থাকায়, একসঙ্গে অনেক গাড়িও যাতায়াত করে। ফলে রাস্তা পারাপারে ঝুঁকি থাকে। তাই যাত্রী বা পথচারীরা যাতে রাস্তা ব্যবহার না করে এপার থেকে ওপার যাওয়ার জন্য স্কাই ওয়াক ব্যবহার করেন, তাই এই পরিকল্পনা।
আগামী বছরের শুরু থেকেই স্কাইওয়াক তৈরির কাজ শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের জন্য ডিপিআর বা প্রজেক্ট রিপোর্ট প্রস্তুত করেছে কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে অর্থ দপ্তরের কাছে এই ডিপিআর পাঠানো হবে। অর্থ দপ্তর সম্মতি দিলে কাজ শুরু করা হবে।
যেখানে পিলার তোলা হবে সেই জায়গায় কলকাতা কর্পোরেশনের জলের পাইপ লাইন এবং সিইএসসির ইলেকট্রিকের তার রয়েছে কি না তা দেখে কাজ শুরু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
চলতি বছরেই কালীঘাট স্কাইওয়াক নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াকের আদলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের নির্দেশে কালীঘাটেও একই রকমের স্কাইওয়াক তৈরি হচ্ছে। প্রায় ৩৫০ মিটার দীর্ঘ ওই স্কাইওয়াকের প্রাথমিক খরচ ধরা হয়েছে ১০০ কোটি টাকা। রাইটস এই প্রকল্পের নকশা তৈরি করেছে। কালীঘাট মন্দির লাগোয়া দোকানদারদের সরিয়ে পার্শ্ববর্তী চাতালেই ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।
প্রথমে সমস্যা তৈরি হয়েছিল কালীঘাটের বাইরের দোকানগুলির জায়গা বদল নিয়েই। বছর তিনেক আগে যখন স্কাইওয়াক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তখন কালীঘাট মন্দিরের বাইরে থাকা পাণ্ডাদের দোকানগুলি সরানোর প্রস্তাবে সমর্থন করেছিল সবপক্ষ। সিদ্ধান্ত হয়েছিল, যতদিন না স্কাইওয়াক নির্মাণ সম্পন্ন হচ্ছে, ততদিন দোকানদারদের কলকাতা পুরসভা বিকল্প দোকানের বন্দোবস্ত করে দেবে। কিন্তু সমস্যা তৈরি হয়েছিল বণ্টনের ক্ষেত্রে, সরকারি নথি অনুযায়ী দোকানদারদের সংখ্যা ছিল প্রায় ১১০। কিন্তু হাজরা পার্কে দোকান পাওয়ার আবেদন জমা পড়েছিল অনেক বেশি। এই নিয়েই জটিলতা তৈরি হয়। পরে ফিরহাজ হাকিমের হস্তক্ষেপে সেই জট কেটেছে ও নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।