হাওড়ার বিজেপি নেতা সুরজিৎকে বহিষ্কার করা নিয়ে গেরুয়া দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে
হাওড়ার বিজেপি নেতা সুরজিৎ সাহাকে বহিষ্কার করা নিয়ে প্রকাশ্যে গেরুয়া দ্বন্দ্ব! যদিও সুরজিৎকে নিয়ে দল খুব একটা চিন্তা করে না বলেই জানিয়ে দিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অন্যদিকে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুর দাবি, এটা দলের পক্ষে ক্ষতিকর তো বটেই!
গত ডিসেম্বরে দলবদল করেন শুভেন্দু অধিকারি। এখন তিনি রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা। এহেন শুভেন্দুকেই মঙ্গলবার আক্রমণ করে বসেন বিজেপির হাওড়া সদর সভাপতি সুরজিৎ সাহা। মঙ্গলবার দলীয় বৈঠকে সুরজিতের বিরুদ্ধে তৃণমূলের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। তার পরেই সুরজিতের মন্তব্য, শুভেন্দুকে নারদে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। হাওড়া জেলার কোনও নেতাকে নয়। হাওড়ার প্রাক্তন মেয়র তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা রথীন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে পুরনির্বাচনের জন্য গঠিত কমিটিতে কাজ করতেও তিনি অস্বীকার করেন বলে অভিযোগ। শুভেন্দু অধিকারির অঙ্গুলি হেলনে তৃণমূল থেকে আসা লোকেরাই কমিটিতে জায়গা পেয়েছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি। এর পরেই বুধবার দল থেকে বহিষ্কার করা হয় তাঁকে।
এই বহিষ্কার নিয়েই প্রকাশ্যে এসেছে গেরুয়া দ্বন্দ্ব। দিলীপ বলেন, পার্টির ডিসিপ্লিন অ্যাকশন হয়েছে। শৃঙ্খলা ভাঙলে দল ব্যবস্থা নেবে। মিটে গিয়েছে। পার্টি একটা সিস্টেমে চলে। হাজার হাজার কর্মী রয়েছেন। এক-আধজনের সমস্যা হতেই পারে। এর আগেও পার্টি ছেড়ে চলে গিয়েছেন। এটা নিয়ে দল খুব একটা চিন্তা করে না। যারা বুথস্তরের কর্মী তারাই লড়াই করে দলকে জেতাবে। ঘটনার প্রেক্ষিতে সায়ন্তন বলেন, সুরজিৎ আমাদের দলের অনেক দিনের কার্যকর্তা। নিচুস্তর থেকে কাজ করে জেলা সভাপতি অবধি পৌঁছেছে। এটা অস্বীকার করার কোনও জায়গাই নেই। একজন বহুদিন ধরে পার্টি করার পর দল ছাড়লে বা তাঁকে সরিয়ে দিলে তা তো দলের জন্য ক্ষতিকর।