হিমাচল সীমান্তে বাড়ছে লালফৌজের আনাগোনা, গোয়েন্দা রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য
লাদাখ, অরুণাচল, উত্তরাখণ্ডের পর এবার হিমাচল প্রদেশে চোখ রাঙাচ্ছে লালফৌজ (PLA)। পর্যটকদের প্রিয় কিন্নর (Kinnaur). লাহুল (Lahul) এবং স্পিতি (Spiti) জেলা বরাবর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার অপরপ্রান্তে চিনা ভূখণ্ডে বাড়ছে চিনা সেনার উপস্থিতি। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বানাচ্ছে হেলিপ্যাড, রাস্তা। গোয়েন্দা রিপোর্টে উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। যা ঘিরে নতুন করে নয়াদিল্লির মাথাব্যথা বেড়েছে।
হিমাচলের (Himachal Pradesh) পুলিশের তরফেও চিনের গতিবিধির উপর নজর রাখা হচ্ছিল। তাঁদের নজরেও ধরা পড়েছে লালফৌজের সন্দেহজনর গতিবিধি। দেখা গিয়েছে, হিমাচলের দুই দুর্গম জেলার ৯টি পাস বরাবর চিনের (China) ভূখণ্ডে তৈরি হচ্ছে রাস্তা। মোতায়েন হচ্ছে সেনা। এ বিষয়ে রাজ্যপাল রাজেন্দ্র আরলেকরের কাছে একটি রিপোর্ট জমা করেছে হিমাচল পুলিশ।
শুক্রবার রাজ্য পুলিশের ডিজিপি সঞ্জয় কুণ্ডু জানিয়েছেন, “গত এক বছর ধরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখানে চিনা সৈন্যের আনাগোনা বেড়েছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেথা বরাবর পরিকাঠামো তৈরি করছে চিন। বেড়েছে নজরদারিও।” প্রসঙ্গত, হিমাচলের কিন্নর-লাহুল-স্পিতি তিন জেলায় চিনের ২৪০ কিলোমিটার সীমানা রয়েছে। এই সীমানা বরাবর গতিবিধি বেড়েছে চিনা সেনার। যা নিয়ে বেড়েছে চিন্তা।
প্রসঙ্গত, এদিকে চারধাম যাত্রা (Char Dham) প্রকল্পে উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) রাস্তা আরও চওড়া করতে সুপ্রিম কোর্টের কাছে অনুমতি চেয়েছে কেন্দ্র। রাস্তার অন্য প্রান্তে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছেই হেলিপ্যাড তৈরি করছে চিন। এই পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার দিকে লক্ষ্য রেখেই ওই রাস্তা চওড়া করার পক্ষে সওয়াল কেন্দ্রের। এদিকে পরিবেশ রক্ষার্থেই এই রাস্তা চওড়া করা যাবে না এই আরজিতেই শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। সেই মামলার সূত্রেই রাস্তা করতে চাইল কেন্দ্র।
২০১৯ থেকে চিন-ভারত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় উত্তেজনা বেড়েছে। একাধিকবার আগ্রাসী পদক্ষেপ করেছে চিন। ভারতীয় সেনাবাহিনীর তৎপরতায় তাদের রুখে দেওয়া গিয়েছে। তবুও উসকানিমূলক কার্যকলাপ বন্ধ করছে না চিন।