দক্ষিণবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

উড়ল ব্যাঘ্র প্রকল্পের ফেন্সিং, আম্পানের মাঝেই বাঘের আতঙ্ক সুন্দরবনে

May 21, 2020 | < 1 min read

মঙ্গলবার সকাল থেকেই বৃষ্টি। বুধবার সকাল থেকেই কখনও মেঘলা আকাশ তো কখনও বৃষ্টি। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। দাপট বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রামকে গ্রাম তছনছ হতে শুরু করেছিল। তার সঙ্গেই স্থানীয় কন্ট্রোল রুম, ঘরের চাল সব উড়ে যেতে থাকে। সজনেখালি রেঞ্জ থেকে সরিয়ে দিতে হয় ট্রানক্যুলাইজার টিম। ছিঁড়ে গিয়েছে বিস্তীর্ণ অংশের ফেন্সিং। যার ফলে ঘর বাড়ি হারিয়ে তো বটেই, নতুন করে বাঘ ঢোকার আশঙ্কা তৈরি হল সুন্দরবনের জঙ্গল লাগোয়া এলাকায়।

নামখানা টাওয়ার, বকখালি রেঞ্জ অফিস, বসিরহাটের ঝিলা সর্বত্র চলেছে আমফান তাণ্ডব। বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সল্টলেকের কন্ট্রোল রুমে বসে যতটুকু খবর পেয়েছেন তার ভিত্তিতে বলেন, “চারিদিকের অবস্থা খারাপ। কোনও জায়গার সঙ্গে টানা যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। যতটুকু খবর এসেছে তাতে প্রচুর ক্ষতি হয়েছে।”

সদ্য বাঘের সংখ্যা বেড়েছে সুন্দরবনে। সে কথা মাথায় রেখে বিপর্যয়ের আগে বাড়তি সুরক্ষা নেওয়া হয়েছিল। যতটা সম্ভব বাড়তি বেড়া ও জাল লাগানো হয়েছিল। গ্রামের কাছে রাখা হয়েছিল বাড়তি ট্রানক্যুলাইজার টিম। বিশেষ করে পাখিরালয়ের কাছে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু সবটাই নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে খবর। ভেঙে গিয়েছে পাখিরালয়ের জেটিও। তার মধ্যে সর্বত্র লোডশেডিং হয়ে থাকার ফলে খবর আদানপ্রদান করাও যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলছেন, “কাউকে তাণ্ডব চলাকালীন অবস্থায় ধরে বেঁধে পাঠানো যায় না। যতজন কাজ করছিলেন সকলকে আগে জীবন বাঁচাতে বলেছি নিজেদের। পরিস্থিতি শান্ত হলে সবটা খতিয়ে দেখা হবে।”

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Super Cyclone, #Cyclone Amphan, #Amphan Super Cyclone, #Sunderban, #Royal Bengal Tiger, #sundarban, #sundarbans, #tiger, #amphan

আরো দেখুন