স্কুল-কলেজের পর ধাপে ধাপে নিচু ক্লাস খোলার ইচ্ছা ব্রাত্যর

উঁচু ক্লাস খোলার পরে কেমন পরিস্থিতি থাকে, তা দেখার পরে নিচু ক্লাস খুলে দেওয়ার ইচ্ছে আছে বলেও ব্রাত্যবাবু জানান।

November 15, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

কাল, মঙ্গলবার থেকেই খুলে যেতে চলেছে স্কুল-কলেজ। রবিবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এ প্রসঙ্গে বলেছেন, আপাতত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি খুলছে। তবে, ধাপে ধাপে আমরা সব ক্লাসই খুলব। এও বলেন, শিক্ষাক্রম বা পাঠ্যক্রমের বিষয়টি মাথায় আছে। ছাত্রছাত্রীদের মূলস্রোতে ফেরানোই লক্ষ্য। উঁচু ক্লাস খোলার পরে কেমন পরিস্থিতি থাকে, তা দেখার পরে নিচু ক্লাস খুলে দেওয়ার ইচ্ছে আছে বলেও ব্রাত্যবাবু জানান।

ধাপে ধাপে নিচু ক্লাস খুলে দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশের বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছে মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি, শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চের মতো সংগঠন। এদের মতো বহু শিক্ষক সংগঠনই নিচু ক্লাস থেকে স্কুল খুলে দেওয়ার পক্ষপাতী। তবে, সরকারকেও সবদিক বিবেচনা করে পদক্ষেপ করতে হচ্ছে বলে ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য।

পড়ুয়ারা দীর্ঘদিন পরে পড়াশোনার জন্য স্কুলে ফিরছে। তাই তাদের এই অভিজ্ঞতাকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রত্যেককে ফুল, পেন প্রভৃতি দিয়ে অভ্যর্থনা জানাতে নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষাদপ্তর। সেই অর্থ সরকারের তরফে মিটিয়ে দেওয়া হবে স্কুলগুলিকে। স্কুল খোলার আগে শিক্ষা কমিশনার, সমগ্র শিক্ষা মিশনের রাজ্য প্রকল্প অধিকর্তা এবং ডিআইদের মধ্যে ভিডিও কনফারেন্স হয়েছে। তাতে স্কুলের সামনে ভীড় এড়াতে এবং যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্কুলগুলিকে। কলকাতা জেলা সমগ্র শিক্ষা অভিযানের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, স্কুলের বাইরে চার পাঁচ ফুট দূরত্বে বৃত্ত এঁকে দিতে হবে। স্কুলে ঢোকার সময় সেখানে দাঁড়াবে পড়ুয়ারা। স্কুলের তিনজন শিক্ষক থাকবেন দায়িত্বে। একজন শিক্ষক দেখবেন, স্কুলে ঢোকা পড়ুয়াদের মুখে ঠিকঠাক মাস্ক আছে কি না। অন্যজন থার্মাল গান দিয়ে পড়ুয়াদের শরীরের তাপমাত্র দেখবেন। অন্য শিক্ষকের দায়িত্ব থাকবে পড়ুয়াদের হাতে স্যানিটাইজার স্প্রে করা। ডিআই বা এসআই অফিসের শিক্ষাবন্ধুদের থাকছে বাড়তি দায়িত্ব। তাঁরা সার্কেলের বিভিন্ন স্কুল ঘুরে দেখবে, সঠিকভাবে করোনাবিধি মানা হচ্ছে কি না। এসআইরা সেই শিক্ষাবন্ধুদের পরিচালনা এবং কার্যভার দেওয়ার দায়িত্বে থাকবেন। রবি এবং সোমবারের মধ্যেই স্কুলের স্যানিটাইজেশনের কাজ সেরে ফেলতে বলা হয়েছে। কলকাতার স্কুলগুলিতে পুরসভার বরো অফিসের আধিকারিকরাও করোনা বিধি পালনে সতর্কতার উপর জোর দেবেন। জেলাগুলিতেও রয়েছে একই ছবি। সেখানে বিএমওএইচদের স্কুল খোলা নিয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। তবে, অনেক স্কুলই এই সতর্কবার্তা একেবারে শেষ মুহূর্তে আসা নিয়ে সরব হয়েছেন। এদিকে, ক্যাম্পাস খোলা নিয়ে পদক্ষেপ করছে স্কুলগুলিও। অনেকেই চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। ক্যাম্পাস নিরাপদ রাখতে শিক্ষকদের কী করণীয়, সে ব্যাপারে পরামর্শও নিচ্ছে। বারাকপুরের একটি কলেজ প্রতি সপ্তাহে একজন চিকিৎসককে ক্যাম্পাসে রাখার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen