আম্পানের ধাক্কা করোনার পরীক্ষার ওপর
রাজ্যের করোনা-মানচিত্রে যে জেলাগুলি নিয়ে বিশেষ দুশ্চিন্তার অবকাশ রয়েছে, আম্পানের মূল প্রভাবও সেই জেলাগুলির উপরেই পড়েছে। এর ফলে ঝড়-পরবর্তী সময়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও তার মোকাবিলা নিয়ে মাথাব্যথা বেড়েছে। ঝড়ে বড় ভাবে ধাক্কা খেয়েছে করোনার পরীক্ষা। এ ছাড়া ঝড়ের পরে বহু বিপন্ন মানুষ বেরিয়ে পড়তে বাধ্য হয়েছেন সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিংয়ের বিধি না-মেনেই।
আম্পানে সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে কলকাতা, হাওড়া, দুই ২৪ পরগনা এবং দুই মেদিনীপুর। আবার করোনা সংক্রমণে কলকাতা এবং হাওড়া নিয়ে চিন্তা আগাগোড়াই ছিল। পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজ্য ফেরার পরে দুই ২৪ পরগনায় তাঁদের উপরে নজরদারি এবং টেস্টে জোর দেওয়া হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর নিয়েও চিন্তার কারণ রয়েছে।
এই অবস্থায় নাইসেড থেকে স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন, এনআরএস থেকে এসএসকেএম-উম্পুনের দাপটে কোনও ল্যাবরেটরি থেকেই পাঠানো যায়নি করোনা টেস্টের রিপোর্ট। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এর উপরে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, স্ক্রাব টাইফাসের মতো রোগের বাড়াবাড়ি হলে পরিস্থিতি ঘোরালো হতে পারে।
আম্পানের ধাক্কায় করোনার পরীক্ষা যাতে বিঘ্নিত না হয়, তার জন্য ল্যাবরেটরিগুলিকে পর্যাপ্ত কর্মী বহাল রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেইমতো ব্যবস্থাও হয়েছিল। বহু ল্যাবে রাতে ছিলেন কর্মীরা। কিন্তু সব হিসেব উল্টেপাল্টে দেয় ঝড়। এক ধাক্কায় ৯০০০ থেকে কমে সংখ্যাটা এসে দাঁড়ায় ৪০০০ এ।