কালসাপ দেখব, সাপুড়ে ডেকে বিষ দাঁত ভাঙব, দলবদলুদের বার্তা সায়ন্তিকার
না আজকে শুক্রবার নয়। না আজকে তাঁর কোনও নতুন ছবি রিলিজও করেনি। তবু রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে তাঁর বক্তৃতা শুনে অনেকেই হয়তো প্রথমে ঠাওর করতে পারবেন না, এটা বক্তৃতা নাকি এনকে সলিলের চিত্রনাট্য।
এদিন বাঁকুড়ায় তৃণমূলের (TMC) কর্মিসভায় যোগ দিতে গিয়েছিলেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (Sayantika Banerjee)। একুশের ভোটে দিদি তাঁকে টিকিট দিয়েছিলেন বটে। কিন্তু জিততে পারেননি। তবে তারপর থেকে দলের কর্মসূচি ছেড়ে দেননি সায়ন্তিকা। এদিন বাঁকুড়ায় গিয়ে সায়ন্তিকা মূলত হুঁশিয়ারি দিতে চান দলের মধ্যে থেকে যারা বিশ্বাসঘাতকতা করছে তাদের দিকে। এদিন সায়ন্তিকা বলেন, “কালসাপ দেখব, সাপুড়ে ডাকব, বিষ দাঁত ভাঙব আর চুবড়িতে ঢুকিয়ে ফুটিয়ে দেব।”
শুধু তাই নয়। তৃণমূলের যে কর্মীরা ভোটের আগে জল মাপছিল তাদের বিরুদ্ধেও এদিন তীব্র আক্রমণ শানান সায়ন্তিকা। তাঁর কথায়, “ভোটের আগে কেউ কেউ বসেছিল। দেখছিল, কী হয়! যে জিতবে সেদিকে যাবে। কিন্তু এখন মা মাটি মানুষের সরকার। আমাদের সরকার। তাদের দরকার নেই।” এখানেই থামেননি অভিনেত্রী থেকে নেত্রী হওয়া সায়ন্তিকা। তিনি বলেন, “দুষ্ট গরুর থেকে শূন্য গোয়াল ভাল। অন্য় দলে থাক আর হারো, ওটাই ভবিষ্যৎ।”
গত লোকসভা নির্বাচন থেকেই বাঁকুড়া জেলায় ধাক্কা খাচ্ছে তৃণমূল। জেলার দুটি লোকসভা আসনই বিজেপি জিতেছিল উনিশের ভোটে। কিছুটা সামলালেও বিধানসভা ভোটেও বাঁকুড়ার মাটিতে পুরোপুরি ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি শাসকদল। সামনেই পুরভোট। পশ্চিমাঞ্চলের এই জেলায় একাধিক পুরসভায় ভোট হবে। তার আগে দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে চাইছে কালীঘাট।
বন্যার সময়েও সায়ন্তিকাকে দেখা গিয়েছিল বাঁকুড়ায় গিয়ে জল ঠেলে ঠেলে মানুষের কাছে পৌঁছচ্ছেন। এদিনও কর্মিসভায় গরম গরম বক্তৃতা দিলেন তিনি। অনেকের মতে, সায়ন্তিকা দেখাতে চাইছেন, হেরে গেলেও তিনি হারিয়ে জাননি।