অনলাইন মদ ডেলিভারিতে স্যুইগি-জোম্যাটো
করোনার জেরে বাজারে মন্দা স্যুইগি-জোম্যাটোর মতো অনলাইন ফুড ডেলিভারি প্ল্যাটফর্মের। সঙ্গে বাজারে অ্যামাজনের মতো প্রবল প্রতিপক্ষ এসে যাওয়ার চাপ। যে বাধা কাটাতে বিকল্পের খোঁজ করছিল অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থাগুলি।
একই পথ খুঁজে নিল যুযুধান স্যুইগি-জোম্যাটো, দুই সংস্থাই। খাদ্যের সঙ্গে এ বার থেকে পানীয়ও সরবরাহ করবে তারা। টানা লকডাউনে দোকান বন্ধ থাকায়, ‘পানীয়’ না পেয়ে চাতকের দশা হয়েছিল দেশবাসীর। যদি বা সরকারি আইনে দোকান খোলার ছাড়পত্র মিলল, কিন্তু সেখানেও সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং-এর জেরে লম্বা লাইনের গেরো। ফলে মাউস ক্লিকের আয়াসেই দেশবাসীকে এ বার একেবারে ঘরের দোরগোড়ায় পছন্দের ব্র্যান্ডের অ্যালকোহল সরবরাহ করবেন স্যুইগির ডেলিভারিম্যানরা।
সংস্থার তরফে অনুজ রাঠি (ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রোডাক্টস) বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, আপাতত রাঁচি থেকে এই পরিষেবা শুরু করা হচ্ছে। পরে ধীরে ধীরে দেশের বাকি রাজ্যগুলির প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে এই পরিষেবার সুযোগ নিতে পারবেন দেশবাসী। সংস্থার অ্যাপে ‘ওয়াইন শপস’ ক্যাটেগোরি থেকে পছন্দসই অর্ডার দেওয়া যাবে। উল্লেখনীয় ভাবে ঝাড়খণ্ড থেকেই নিজেদের অনলাইন ওয়াইন ডেলিভারি পরিষেবা শুরু করছে জোম্যাটোও।
স্যুইগি কর্তৃপক্ষের তরফে বৃহস্পতিবার আরও জানানো হয়েছে, একাধিক রাজ্যের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা চালাচ্ছেন তাঁরা। আশা করা হচ্ছে খুব শীঘ্রই আরও একাধিক রাজ্যে এই পরিষেবা ছড়িয়ে দিতে পারবেন তাঁরা। অপ্রাপ্তবয়স্ক কেউ যাতে অনলাইনে মদের অর্ডার দিয়ে তা নিতে না পারেন, তার জন্য প্রত্যেক গ্রাহককে সরকারি সচিত্র পরিচয়পত্র এবং সেলফি দিয়ে বয়সের প্রমাণ দিতে হবে।
প্রত্যেক অর্ডারের ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট ওটিপি যাবে গ্রাহকের নির্দিষ্ট মোবাইলে। যা ডেলিভারিম্যানকে বললে তবেই অর্ডার সংগ্রহ করতে পারবেন গ্রাহক। সেক্ষেত্রে কোনও গ্রাহক কত পরিমাণ অ্যালকোহল অর্ডার করছেন, তার উপর নজরদারিও চালানো যাবে।