স্কুলে ফিরতে পেরে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ছিল প্রবল উৎসাহ, মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্টে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবেন শিক্ষামন্ত্রী
মঙ্গলবার থেকে খুলেছে রাজ্যের স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। করোনা অতিমারীর কারণে দীর্ঘ ২০ মাস পর ফের একবার স্কুল কলেজমুখি রাজ্যের পড়ুয়ারা। স্কুল খোলার প্রথম দিনই রাজ্যে পরীক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার ছিল চোখে পড়ার মতো। এছাড়াও, দীর্ঘদিন পর, স্কুলে ফিরতে পেরে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ছিল প্রবল উৎসাহ। তবে স্কুল খোলা ও পড়ুয়াদের স্কুলে আসাকে এখনই সাফল্য হিসেবে দেখতে চাননা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, “আজ প্রথম দিন তাই সাফল্য বলাটা বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে। আমরা খুশি ও আশানুরূপ সাড়া পাওয়া গিয়েছে। পড়ুয়াদের উচ্ছ্বাস উদ্দীপনা ও উৎসাহ দারুণ।”
তবে, স্কুলে আসা ও না আসা পড়ুয়াদের মধ্যে ভাগাভাগি করতে রাজি নন শিক্ষামন্ত্রী। যে সকল পড়ুয়ারা স্কুলে আসেনি, তারা আগামীদিনে বাকি পড়ুয়াদের দেখে উৎসাহ পাবে বলেই জানান তিনি। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যারা স্কুলে এলো অথবা এলো না তা নিয়ে ভাগাভাগি করব না আমরা। যারা স্কুলে এলো তাদের দেখে অন্যরা উৎসাহিত হবে বলেই আমাদের আশা।”
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দুপুর ২টো পর্যন্ত রাজ্যের ২৫টি জেলা থেকে স্কুল খোলার পর থেকেই ভালো সাড়া পাওয়া গেছে। বিকেল ৫টার পর এই বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হবে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী। এছাড়াও তিনি বলেন যে স্কুলের বর্তমান ক্লাস গুলির আচার আচরণ দেখে, পরিস্থিতি নিয়ে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রী কে পাঠানো হবে। সেই দিক গুলো খতিয়ে দেখেই পরবর্তী ক্লাস গুলিকে স্কুলে আনার ব্যাপারে আমরা সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার।
স্কুল খোলা নিয়ে পড়ুয়াদের মধ্যে উৎসাহ লক্ষ্য করা গেছে সকাল থেকেই। তবে, এখনই কোনও হটকারি সিদ্ধান্ত নিতে রাজি নয় রাজ্য। বাকি ক্লাসগুলি খোলার বিষয়ে ধিরে চলো নীতি নিয়েই এগোতে চায় রাজ্য সরকার। ব্রাত্য বলেন, “যান্ত্রিক ভাবে কোনও সিদ্ধান্ত আরোপ করব না । সব দিক খতিয়ে দেখে পরিস্থিতি অনুযায়ী আমরা এগোবো।
স্কুল খোলার প্রথম দিনের পরিপ্রেক্ষিতে পড়ুয়া ও শিক্ষকদের থেকে যে সাড়া পাওয়া গেছে, তা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী।
এদিন সকাল থেকেই রাজ্যের প্রায় সব স্কুলগুলিতেই ছিল সাজসাজ রব। দীর্ঘ ২০ মাস পর পড়ুয়ারা ক্লাসরুমে ফেরায় বহু স্কুলে তাঁদের ফুল ও চকলেট দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।