আম্পানের তাণ্ডবে বেসামাল কলকাতার হাসপাতালগুলি
কোথাও গাছ উপড়ে পড়েছে। কোথাও ভেঙেছে সিলিং। কোথাও উড়েছে রোগী প্রতিক্ষার ছাউনি। কোথাও বিদ্যুৎহীন জরুরি বিভাগ বা জল জমে থইথই ওয়ার্ড। কোথাও ভেঙে পড়েছে গ্লাস প্যানেল। ঘূর্ণিঝড় উম্পুনের প্রভাব থেকে রেহাই পেল না শহরের হাসপাতালগুলি।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইমারজেন্সি বিল্ডিংয়ে ভেঙে পড়েছে প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের ফলস সিলিং। এনআরএস হাসপাতালের হস্টেলে ভেঙে পড়ল কাঁচের জানলা-দরজা। বৃষ্টির তোড়ে জল জমতে শুরু করেছে তখন দুই হাসপাতালেই। এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার বিল্ডিংয়ের সামনের এমনই এক রোগী প্রতীক্ষাকেন্দ্রের ছাউনি উড়ে যায়। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ ঝড়ের প্রকোপ থেকে বাঁচতে রোগীর সেই পরিজনদের ট্রমা কেয়ার বিল্ডডিংয়ের ভিতরে আশ্রয় দেওয়া হয়।
ঝড়ের প্রবল শব্দের মাঝে আরজি কর, এনআরএস, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, এসএসকেএম হাসপাতালে একের পর এক গাছ পড়ার শব্দ শুনতে পান হাসপাতালের আবাসিক, চিকিৎসকেরা। তারই মাঝে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং পূর্ত দপ্তরের তৎপরতায় রাতেই বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরে আসে।
বিদ্যুৎ বিপর্যয় হয় আমরি-সহ শহরের একাধিক বেসরকারি হাসপাতালেও। গভীর রাতে ঝড় থামতেই বাড়ি ভেঙে আহত তিনজন ব্যক্তিকে নিয়ে আসা হয় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ট্রমা কেয়ারে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয় রাতেই। প্রবল ঝড়ে ভেঙে পড়ে আমরি মুকুন্দপুরের বেশ কিছু গ্লাস প্যানেল।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গাছ পড়ে পথ আটকে যায় অক্সিজেন সিলিন্ডার বোঝাই গাড়ির। বিদ্যুৎ বিভ্রাট হওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের সমস্ত লিফট। মোবাইল এবং ইন্টারকম পরিষেবা বিপর্যস্থ হওয়ারও ফলেও বিপাকে পড়ে হাসপাতালগুলি।