এবার জেলায় জেলায় বইমেলা, উদ্যোগ রাজ্যের

জানুয়ারি পর্যন্ত দফায় দফায় বিভিন্ন জেলায় বইমেলার তারিখ নির্দিষ্ট করেছে গ্রন্থাগার দপ্তর। শুধু কলকাতার জেলা পর্যায়ের বইমেলার তারিখ এখনও নির্দিষ্ট হয়নি।

November 19, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার পর এবার জেলা পর্যায়ের বইমেলা আয়োজনে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। আগামীকাল শনিবার থেকে উত্তর দিনাজপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বইমেলা শুরু হতে চলেছে। এমাসে আলিপুরদুয়ার, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পুরুলিয়া, কোচবিহার জেলার বইমেলা হবে। জানুয়ারি পর্যন্ত দফায় দফায় বিভিন্ন জেলায় বইমেলার তারিখ নির্দিষ্ট করেছে গ্রন্থাগার দপ্তর। শুধু কলকাতার জেলা পর্যায়ের বইমেলার তারিখ এখনও নির্দিষ্ট হয়নি।

প্রতি জেলার বইমেলার আয়োজনের জন্য ৬ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ করেছে গ্রন্থাগার দপ্তর। জেলা বইমেলা থেকে বই কিনতে গ্রন্থাগারগুলির জন্য নির্দিষ্ট হারে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রতি জেলা গ্রন্থাগারকে এই খাতে দেওয়া হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা। মহকুমা/টাউন গ্রন্থাগার পাচ্ছে ১৩ হাজার টাকা। গ্রামীণ ও প্রাথমিক গ্রন্থাগার পাবে ১০ হাজার টাকা।

করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ থাকার জন্য ঩জেলা বইমেলায় স্টলের সংখ্যা সর্বাধিক ৬৫টি নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এর থেকে বেশি স্টল দেওয়া হলে অনুদান বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ১০০ বর্গফুট আয়তনের স্টলের ভাড়া সাড়ে ৩ হাজার টাকা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। বইমেলায় বাংলা সহয়তা কেন্দ্রের একটি স্টল রাখতেই হবে। এখান থেকে বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা অনলাইনে পাওয়া যায়। অনলাইন পরিষেবার জন্য কোনও টাকা লাগে না। বই কিনতে এসে সাধারণ মানুষ যাতে অনলাইনে সরকারি পরিষেবা নিতে পারেন তার জন্য এই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ইংরেজি বইয়ের জন্য তিনটি স্টল রাখতে বলা হয়েছে। বইমেলায় সাহিত্যসভা, সংবিধান, ভারতের গণতন্ত্র ও রা঩জ্যের বিশিষ্ট মানুষদের নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। জেলা বইমেলা সাতদিন ধরে চলবে। খোলা থাকবে বেলা সাড়ে ১২টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত।

তবে বইমেলা আ঩য়োজনের জন্য গ্রন্থাগার দপ্তর উদ্যোগী হলেও সরকারি গ্রন্থাগারগুলি ভালোভাবে চালানোর দাবি উঠেছে। সরকারি গ্রন্থাগারগুলি খুলেছে। কিন্তু গ্রন্থাগারিকসহ অন্য কর্মী কম থাকার জন্য স্বাভাবিক পরিষেবা দেওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ। জনসাধারণের গ্রন্থাগার ও কর্মী কল্যাণ সমিতির মুখ্য আহ্বায়ক মনোজ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, আড়াই হাজারের বেশি শূন্যপদ রয়েছে গ্রন্থাগারগুলিতে। গত ফেব্রুয়ারিতে মন্ত্রিসভা ৭০০ জনের বেশি নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে। কিন্তু এখনও নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়নি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen