দেশ বিভাগে ফিরে যান

কৃষক আন্দোলনের সাফল্য দেখে ২ দিনের হরতালের প্রচার বাড়াচ্ছে শ্রমিক সংগঠনগুলি

November 20, 2021 | 2 min read

বছরব্যাপী কৃষক আন্দোলনের জেরে মাথা নত করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রোদ-বৃষ্টি-শীত উপেক্ষা করে মাটি কামড়ে পড়ে থেকে বিজেপি বিরোধী কৃষক সংগঠনগুলি ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত কৃষি আইন বাতিলের পথে যেতে বাধ্য করেছে সরকারকে। কৃষক আন্দোলনের এই সাফল্য প্রত্যাশিতভাবেই চাপ বাড়িয়েছে শ্রমিক সংগঠনগুলির উপর। কৃষি আইনের মতো মোদি সরকারের চারটি শ্রমকোড বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলি। শুক্রবার মোদির ঘোষণা একপ্রকার চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে তাদের।

চাপ বাড়ছে বুঝে ট্রেড ইউনিয়নগুলিও যৌথ আন্দোলনের ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই গেরুয়া শিবিরের সংগঠন বিএমএস বাদে বাকি সংগঠনগুলি কনভেনশন করে আগামী বাজেট অধিবেশনের সময় দেশজুড়ে দু’দিনের হরতাল ডেকেছে। শ্রমিক নেতারা শীঘ্রই আলোচনা করে হরতালের প্রচারের রূপরেখা তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সিটু অবশ্য চায়, মোদি সরকারের উপর চাপ তৈরির জন্য তার আগেই বিভিন্ন শিল্প ক্ষেত্রে আলাদা করে আন্দোলনের পথে যেতে। এই লক্ষ্যে আগামী ২ ডিসেম্বর তারা বিদ্যুৎক্ষেত্রে আন্দোলনের পরিকল্পনা নিয়েছে। ওইদিন পাওয়ার গ্রিড ধর্মঘট ডাকতে চলেছে সিটুর জেনারেল কাউন্সিল। এছাড়াও ব্যাঙ্ক, বিমা, কয়লা, ইস্পাত প্রভৃতি ক্ষেত্রেও আন্দোলনের তীব্রতা বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে তারা। কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলি এই পরিকল্পনায় সম্মতি দিলে আন্দোলন আরও তীব্র আকার নেবে বলে মনে করা হচ্ছে।

সিটু, ইউটিইউসি, টিউইসিসি, এআইইউটিইউসি, আইএনটিইউসি ইত্যাদি সংগঠনের নেতৃত্বের মূল বক্তব্য হল, কৃষক আন্দোলনের প্রশ্নে স্বাধীনতার পর এটা এক নজিরবিহীন জয়। নিঃসন্দেহে এই জয় শ্রমজীবী আন্দোলনের অভিমুখও তৈরি করে দিল। এবার আমরা শ্রমকোডগুলি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনের তীব্রতা বৃদ্ধি করব। তবে কৃষক ও শ্রমিক আন্দোলনের চরিত্র এক নয়। শ্রমিকদের পক্ষে কখনওই কর্মস্থল ছেড়ে মাসের পর মাস এক জায়গায় বসে থাকা সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে তাঁর রুটি-রুজিতে টান পড়ার আশঙ্কা থাকে। তবে তার মধ্যে কীভাবে আন্দোলনের তীব্রতা বাড়ানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা করা হবে। 

কৃষক আন্দোলনের সাফল্য যে বাম ও ডানপন্থী ট্রেড ইউনিয়নগুলিকে আরও চাঙ্গা করবে, সে কথা মানছে আরএসএস-এর শ্রমিক সংগঠন বিএমএস। তাদের সাধারণ সম্পাদক বিনয় সিনহা বলেন, আমরা চারটির মধ্যে দু’টি শ্রম কোড— সোশ্যাল সিকিউরিটি এবং ওয়েজ কোডকে ভালো বলেই মনে করি। কিন্তু অকুপেশনাল সেফটি অ্যান্ড হেলথ এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশনস কোড দুটি নিয়ে আমাদেরও আপত্তি রয়েছে। কেন্দ্র কৃষক আন্দোলনের চাপে যদি সংশ্লিষ্ট আইনগুলি বাতিল করতে পারে, তাহলে শ্রমকোড নিয়েও ট্রেড ইউনিয়নগুলির সঙ্গে তাদের অবিলম্বে আলোচনায় বসা উচিত। আমরা সে ব্যাপারে মোদি সরকারের উপর চাপ বাড়াব। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#workers organization

আরো দেখুন