শেষ সম্বলও উড়িয়ে নিয়ে গেল আম্পান, মাথায় হাত হকারদের
গোদের উপর বিষ ফোঁড়া। দু’মাসের বেশি সময় ধরে রোজগার বন্ধ। লকডাউন উঠলে রোজগারের যে সম্ভাবনা ছিল, তাও কেড়ে নিল ঘূর্ণিঝড়। আম্পান সব উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ায় এখন মাথায় হকারদের। গুমটি দোকান, টেবিল, বসার বেঞ্চ, টুল, বাঁশ সবই উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে আম্পান।
শুক্রবার সকালে সল্টলেক সেক্টর ফোরের নাওভাঙা থেকে কয়েক কিলোমিটার হেঁটে নিজের দোকান দেখতে গিয়েছিলেন অপর্ণা মণ্ডল। গিয়ে দেখেন দোকানের উপর একটা আস্ত গাছ পড়ে রয়েছে। তাঁর কথায়, অল্প অল্প করে প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ করে দোকানটা করেছিলাম। এক ঝড়েই সব শেষ। দু’মাস ধরে আয় নেই, জমানো টাকাও প্রায় নিঃশেষ। এবার আয়ের রাস্তাটুকুও পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেল। খাব কী?
প্রায় একই কথা শোনা গেল বেলেঘাটার কৃষ্ণা সরকারের গলাতেও। তিনি বলেন, দোকানের আর কিছু অবশিষ্ট নেই। ত্রিপল, বাঁশ সবই উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে এই ঝড়। লকডাউনের জন্য একে রোজগার নেই। তার উপর প্রায় ১০ হাজার টাকার বেশি ক্ষতি হয়ে গেল। কোথা থেকে আসবে এই টাকা, প্রশ্ন কৃষ্ণাদেবীর।
নয়াপট্টির উত্তম দাসের সেক্টর ফাইভে খাবারের দোকান। এদিন দোকান দেখতে গিয়ে তাঁর চোখ ফেটে জল বেরিয়ে আসে। প্রায় ৩০-৪০ হাজার টাকা খরচ করে বহু বছর ধরে দোকানটাকে ধীরে ধীরে সাজিয়ে তুলেছিলেন। গুমটির একটি অংশ গুঁড়িয়ে গিয়েছে গাছের ধাক্কায়। বাকি অংশ উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে আম্পান।
নিউটাউনেই খাবারের দোকান আনসার মোল্লার। তাঁর গলাতেও একই সুর। তিনি বলেন, কীভাবে যে দোকানটাকে ফের চালু করতে পারব, কে জানে! দোকানের অবশিষ্ট বলে কিছু নেই। সবই উড়ে গিয়েছে।