পর্যটন ট্রেন ‘ভারত গৌরব’-এর দায়িত্ব পাচ্ছে বেসরকারি সংস্থা, ইঙ্গিত রেলমন্ত্রীর
থিম ভিত্তিক পর্যটন ট্রেনের পরিচালনাও এবার কি বেসরকারি হাতে? দেখেশুনে অবশ্য মনে হচ্ছে, ওই পথেই হাঁটছে রেলমন্ত্রক। মঙ্গলবার এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব স্বয়ং। খুব শীঘ্রই সারা দেশে থিম ভিত্তিক পর্যটনের প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে ‘ভারত গৌরব’ ট্রেন চালু করতে চলেছে রেল। নতুন ট্রেনের পরিচালনভার থাকবে মূলত বেসরকারি সংস্থার হাতেই।
রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে এমন প্রায় ২০০টি ট্রেন চালানোর ব্যাপারে পরিকল্পনা করা হয়েছে। চিহ্নিত করা হচ্ছে ৩ হাজার ৩৩টি কোচ। রেল বোর্ড জানিয়েছে, এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাকে দু’থেকে ১০ বছরের জন্য ওই পর্যটন ট্রেন চালাতে হবে। রেজিস্ট্রেশন ফি দিতে হবে এক লক্ষ টাকা। রেক পিছু সিকিউরিটি ডিপোজিটের পরিমাণ এক কোটি টাকা। সবমিলিয়ে এক্ষেত্রে প্যাকেজ খরচ কত হবে, তা চূড়ান্ত করার পুরো অধিকার সংশ্লিষ্ট বেসরকারি সংস্থার হাতেই দিয়েছে রেল বোর্ড। পাশাপাশি রুট, ট্রেনের ডিজাইন, বসার ব্যবস্থা পুরোটাই ঠিক করবে সেই দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা। প্যাকেজের খরচ ঠিক করার পুরো ভার যেহেতু দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি সংস্থার হাতেই থাকবে, তাই স্বাভাবিকভাবেই টিকিটের দাম চড়া হতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রতিটি ট্রেনে দুটি গার্ড ভ্যান সহ ১৪ থেকে ২০টি কোচ থাকতেই হবে। যদিও রেলের ব্যাখ্যা, পুরোটাই বেসরকারি হাতে দেওয়া হবে, এমন তত্ত্ব সঠিক নয়। যোগ্যতা থাকলে আইআরসিটিসি কিংবা কোনও রাজ্য সরকারি সংস্থাও এর দায়িত্ব পেতে পারে। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, ট্রেন সফর ছাড়াও সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাকে যাত্রীদের হোটেলে থাকাখাওয়া, সাইট সিয়িংয়ের মতো একাধিক সুবিধাও প্রদান করতে হবে। রামায়ণ ট্রেনের পাশাপাশি শিখ সংস্কৃতিকে মাথায় রেখে গুরু কৃপা ট্রেনের মতো পর্যটন ভিত্তিক ট্রেন চালানো হবে বলেও জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। আপাতত আইসিএফ কোচ জোড়া হবে। পরবর্তী ক্ষেত্রে চাহিদা মতো এলএইচবি, বন্দে ভারত কোচও যুক্ত করা হতে পারে।
রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ওড়িশা, রাজস্থান, কর্ণাটক, তামিলনাড়ুর মতো রাজ্য এই ট্রেনের ব্যাপারে উৎসাহ দেখিয়েছে। উল্লেখ্য, সারা দেশের ১০৯টি রুটে ইতিমধ্যেই ১৫১টি বেসরকারি ট্রেন চালানোর ঘোষণা করেছে রেল বোর্ড। এবার আরও প্রায় ২০০টি বেসরকারি পর্যটন ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। তবে কবে থেকে এই ট্রেন চলাচল শুরু হতে পারে, সেই ব্যাপারে কিছু জানায়নি রেলমন্ত্রক।