‘জাতীয় বিপর্যয়’ তকমার চেয়ে অর্থই জরুরি, মত তৃণমূলের
নামে কী এসে যায়! পশ্চিমবঙ্গে আমপান ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখে কেন্দ্রের তরফে যথাযথ আর্থিক সাহায্য করাটাই আসল বলে মনে করছেন রাজ্য সরকার তথা তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। আমপান ঘূর্ণিঝড়ের পরে রাজ্যের পরিস্থিতিকে ‘জাতীয় বিপর্যয়’ ঘোষণার দাবি নিয়ে এই অবস্থানই নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার।
রাজ্য সরকারের অভিমত, রাজ্যে করোনাভাইরাস নামক জাতীয় বিপর্যয় চলছেই। তাই ঘূর্ণিঝড়ের ধাক্কাকে ফের ‘জাতীয় বিপর্যয়’ ঘোষণার দরকার নেই।
কেন্দ্রীয় সরকারি সূত্রের খবর, কোনও আইন বা নিয়মে কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগকে জাতীয় বিপর্যয় তকমা দেওয়ার ব্যবস্থা নেই। তবে সাম্প্রতিক অতীতে উত্তরাখণ্ডের হড়পা বান বা অন্ধ্রের হুদহুদকে অভূতপূর্ব বা বিরল মাপের দুর্যোগ আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। সে ক্ষেত্রে একটি দুর্যোগ ত্রাণ তহবিল তৈরি হয়। তাতে চার ভাগের তিন ভাগ অর্থই কেন্দ্র দেয়। বাকি এক ভাগ দেয় রাজ্য। তহবিলে টান পড়লে বাকি অর্থ কেন্দ্রই জোগায়।
করোনা-সঙ্কটকে কাজে লাগিয়েই নরেন্দ্র মোদী সরকার নানা ভাবে মমতা সরকারের কাজকর্মে ‘হস্তক্ষেপ’ করছে। তা নিয়ে প্রতি পদক্ষেপে, প্রতি মুহূর্তে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের সংঘাত বাঁধছে। এর পরে আমপানকে ‘জাতীয় বিপর্যয়’ ঘোষণা করা হলে কেন্দ্রের সেই হস্তক্ষেপ আরও বাড়বে। তাই তৃণমূলের এই সুকৌশলী অবস্থান।