অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সাহায্য করার পরিকল্পনা
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়েছে শহর থেকে গ্রাম। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি ক্ষতি হয়েছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিরও। ক্ষতির ব্যাপকতা বুঝে কেন্দ্র পিছু সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে নারী ও শিশুকল্যাণ দপ্তর।
ক্ষতিগ্রস্ত কেন্দ্রগুলির জেলাওয়াড়ি রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে তারা। এর জন্য একটি ফরম্যাট দেওয়া হয়েছে, সেখানে ক্ষয়ক্ষতির অঙ্ক উল্লেখ করতে হবে। বিভিন্ন জেলা সূত্রে খবর, বেশিরভাগ জায়গায় কাঁচা বাড়িতেই চলে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। তাই ক্ষতিগ্রস্ত কেন্দ্রের সংখ্যা অনেক হবে বলে আশঙ্কা কর্তাদের।
দপ্তর সূত্রে খবর, ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত কেন্দ্রগুলিকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। সেগুলি হল, নিজস্ব বাড়ি পুরো ভেঙে গেলে ১০ লক্ষ টাকা এবং আংশিক ক্ষতি হলে তিন থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
অন্যদিকে, যে সব কেন্দ্র সরকারি বাড়িতে চলে না, সেগুলির ক্ষতি হলে তিন থেকে পাঁচ লক্ষ এবং আংশিক ক্ষতি হলে এক থেকে দু’ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। তবে মোবাইল যোগাযোগ এবং ইন্টারনেট পরিষেবা যেভাবে ব্যাহত হয়েছে, তাতে সেই হিসেব পাঠাতে সমস্যায় পড়েছেন জেলার আধিকারিকরা।
শুধু বাড়ির ক্ষতির তালিকা নয়, ঝড়-বৃষ্টির কারণে গুদামে থাকা চাল, ডাল, সোয়াবিন এবং পৌস্টিক পাউডার যদি নষ্ট হয়ে থাকে, সেই হিসেবও দিতে বলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রতি কুইন্টাল ডাল কিনতে খরচ হয় ন’ হাজার টাকা। এক বোতল তেলের দাম ১০৫ টাকা। প্রতি কেজি নুন কিনতে খরচ ন’ টাকা। কেজি প্রতি সোয়াবিনের কেনা দর ৭৯ টাকা। এক কেজি পৌস্টিক পাউডার কিনতে খরচ হয় ৬৫ টাকা। এই দরের ভিত্তিতে কত টাকার খাদ্যসামগ্রী নষ্ট হয়েছে, তা হিসেব করে জানাতে বলা হয়েছে।