কলকাতার ডার্বিতে আজ এগিয়ে মোহনবাগানই, জেদেই ভরসা লাল হলুদের
বড় ম্যাচে ভবিষ্যৎবানী বলে কিছু হয় না। বহুবার এমনও দেখা গিয়েছে, অনেক এগিয়ে থাকা দলই হেরে মাঠ থেকে বিদায় নিয়েছে। সমর্থকদের মধ্যেও এমন একটা হাবভাব দেখা যায়। হয়তো যে সমর্থকরা বেশি চিৎকার করছিলেন, তাঁরাই খেলা শেষে ফুটুস।
সেঞ্চুরির ডার্বি বলুন কিংবা শতবর্ষের ডার্বিতে এটিকে-মোহনবাগান ধারেভারে অনেক এগিয়ে থাকলেও লাল হলুদের জার্সির রংই সব হিসেবে বদলে দেয়। আনকোরা ফুটবলারও হয়তো সেদিন জ্বলে উঠে সব রং বদলে দিলেন।
একদিকে রয় কৃষ্ণ, হুগো বৌমাস, অন্যদিকে চিমা ও পেরোসেভিচ, এই চার বিদেশীই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন। শনিবারের ডার্বিতে দুই কোচের মগজাস্ত্রেরও লড়াই। কেননা হাবাস পোড়খাওয়া কোচ হলেও অন্য স্প্যানিশ কোচ ম্যানুয়েল দিয়াজের কাছে প্রথম কলকাতা ডার্বি। তিনি জিতলে সমর্থকদের মন জিতে নেবেন।
দুই দলের বহু ফুটবলারের কাছেও প্রথম বড় ম্যাচ। যেমন, এটিকে মোহনবাগানের গোলকিপার অমরিন্দর সিং এটাই তাঁর প্রথম ডার্বি। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই শনিবার তিলক ময়দানের ডার্বি ঘিরে তাঁর উচ্ছ্বাস সামান্য বেশি।
তিনি জানিয়েছেন, এশিয়াতে কলকাতা ডার্বি অন্যতম বড় ম্যাচ। এই ম্যাচটার গুরুত্ব মেরিনার্সদের কাছে কতটা তা আমরা জানি। সমর্থকদের খুশি করাটাই আমাদের কাজ।
প্রথম ম্যাচে অমরিন্দররাও জিতলেও, জিততে পারেননি পেরোসেভিচরা। ডার্বির আগে অমরিন্দর তা নিয়ে অবশ্য খুব একটা ভাবছেন না। মিডিয়া টিমকে জানিয়েছেন, ইস্টবেঙ্গল প্রথম ম্যাচে হয়তো জিততে পারেনি, কিন্তু ওদের দল বেশ ভাল, কোচও অভিজ্ঞ, তিনি দলটিকে তৈরি করেছেন, তাই আমরা সতর্ক হয়েই নামতে চাই শনিবারের ম্যাচে।’’
লাল হলুদের ভরসা সেই জার্মান জেদ, যা দিয়ে তারা অতীতে পিছিয়ে থেকেও বাজিমাত করেছে। দলের তারকা পেরোসেভিচ বলেছেন, ‘‘শুরুতে আমাদের প্র্যাকটিসের মাঠ, হোটেল নিয়ে সমস্যা ছিল, তার জন্য ফোকাস একটু হলেও নড়ে গিয়েছিল। এখন সেই সমস্যা নেই, হয়তো ডার্বি থেকেই আমরা ঘুরে দাঁড়াব।’’