‘দিদির অনুপ্রেরণা’য় সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে ৭৫ নং ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর বিলকিস বেগম
কলকাতা পুরভোটের (Kolkata Municipal Election) আগে ফের ধাক্কা বামশিবিরে, শক্তিবৃদ্ধি তৃণমূলের। নির্বাচনে প্রার্থী হতে না পেরে ক্ষুব্ধ সিপিএম (CPM) প্রার্থী দল ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিলেন পুরসভার বিদায়ী কাউন্সিলর বিলকিস বেগম। শনিবার পুর প্রশাসক তথা এই পুরভোটের প্রার্থী ফিরহাদ হাকিমের হাত ধরে তৃণমূলে নাম লেখালেন তিনি। বললেন, ”দিদির কাজ দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে সিপিএম ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” শুক্রবার সিপিএমই প্রথম পুরভোটের জন্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। তাতে নাম নেই ৭৫ নং ওয়ার্ডের বিদায়ী কো-অর্ডিনেটর বিলকিস বেগমের। ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, টিকিট না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়েই দলত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিলকিস। পুরভোটের আগে তাঁর সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে (TMC) যোগদান বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
কলকাতা পুরসভার ৭৫ নং ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর বিলকিস বেগম লাল শিবিরের সদস্য। গত পুরভোটে কলকাতা পুরসভায় তৃণমূলের দাপটেও কাস্তে-হাতুড়ি-তারা শিবিরের লড়াকু কমরেডদের মধ্যে একজন ছিলেন তিনি। নিজের ওয়ার্ডের কাজকর্ম ছাড়াও পুরসভার অন্দরে বিরোধী হিসেবে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ২০১৮ সালে পুর আইন সংশোধন করে যখন মেয়র পদে ফিরহাদ হাকিমকে বসানো হয়, সেসময় বিলকিস বেগমই কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta HC) এর বিরোধিতায় মামলা দায়ের করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, এই সংশোধনী প্রস্তাব অসাংবিধানিক।
তবে তারপর কেটে গিয়েছে অন্তত তিন বছর। ২০২০ সালে কলকাতা পুরসভায় ভোট হয়নি করোনা পরিস্থিতির কারণে। তা হলে হয়ত পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারত। বিলকিস বেগমকে হয়ত ফের লাল নিশান হাতে নিয়েই ভোটের প্রচারে দেখা যেত। কিন্তু ২০২১ এ কলকাতার রাজনৈতিক পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে অনেকটাই। তাই যে ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) বিরুদ্ধে আদালতে মামলা লড়েছিলেন বিলকিস, শনিবার তাঁরই হাত ধরে তৃণমূলে এলেন তিনি।
তৃণমূলকে টেক্কা দিয়ে পুরভোট ঘোষণার পরে প্রথমে বামেরাই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে ১১৪ আসনে। ৭৫ নং ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলরকে ফের লড়াইয়ের সুযোগ দেননি আলিমুদ্দিনের কর্তারা। এই ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী ফৈয়াজ আহমেদ খান। স্বভাবতই ক্ষুব্ধ বিলকিস। সেই ক্ষোভ দেখেই দলত্যাগের সিদ্ধান্ত বলে ঘনিষ্ঠ মহলের অনুমান। যদিও বিলকিস নিজে বললেন, ”দিদির কাজে প্রতি ভালবাসা থেকেই সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে এলাম।”