ভারতের পক্ষে ওমিক্রন নিয়ে সতর্কবার্তা! কেন উদ্বেগে ‘হু’?
কোভিডের নয়া রূপ নিয়ে গোটা বিশ্বে উদ্বেগ ছড়াচ্ছে। সেই উদ্বেগের দিকে নজর রেখে এই রূপের বিরুদ্ধে লড়তে নিজেদের আরও আঁটসাঁট ভাবে প্রস্তুত করবে ভারত। এক সাক্ষাৎকারে এমনই আশা প্রকাশ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থা (হু)-র প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন। এই উদ্বেগই ভারতের জন্য কোভিড নিয়ে আরও সতর্ক হওয়ার একটা বার্তা হিসেবে কাজ করতে পারে বলে মত তাঁর।
কোভিডবিধিকে অমান্য করে ঘুরে বেড়ানো, মাস্ক না পরা, জমায়েত করার মতো বিষয়গুলি নিয়ে বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন বলেই মত স্বামীনাথনের। তাঁর কথায়, “ওমিক্রনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে বিজ্ঞানসম্মত ভাবেই পদক্ষেপ করে এগোতে হবে।” এখনও পর্যন্ত বিশ্ব জুড়ে কোভিডের ডেল্টা রূপের প্রভাব সবচেয়ে বেশি। ভারতে তো বটেই, দ্বিতীয় ঢেউয়ে তাণ্ডবের নেপথ্যে ছিল কোভিডের এই ডেল্টা রূপই।
সবে যখন কোভিডের ডেল্টা রূপকে দমিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে বিশ্ব, নতুন রূপে হাজির হয়েছে কোভিড। ওমিক্রনের প্রভাব নিয়ে বিভিন্ন মত উঠে আসছে ইতিমধ্যেই। এটি কি ডেল্টা রূপের থেকেও মারাত্মক নাকি কম ক্ষতিকারক তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ এবং পরীক্ষা চলছে।
ওমিক্রনকে হু ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ বলে চিহ্নিত করেছে ইতিমধ্যেই। তবে এর প্রভাব নিয়ে চূড়ান্ত কোনও ঘোষণা এখনও হয়নি। স্বামীনাথনের কথায়, “কোভিডের এই রূপ ডেল্টার থেকেও বেশি সংক্রামক হতে পারে। তবে এই রূপের প্রভাব কতটা পড়বে চূড়ান্ত ভাবে কিছু বলার সময় এখনও আসেনি। ওমিক্রনের প্রকৃতি বুঝতে গেলে আরও কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে হবে আমাদের।”