কানপুরে শ্রেয়স-ঋদ্ধিমানের দুর্দান্ত ব্যাটিং-এ দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ভারতের
কানপুর টেস্টের (Kanpur Test) চতুর্থ দিনটা বেশ নাটকীয় হল। একেবারে খাদের কিনার থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে, টেস্ট জয়ের মুখে দাঁড়িয়ে ভারত (Team India)। কাল, সোমবার কানপুর টেস্ট জিততে হলে ভারতকে নিতে কিউই ইনিংসের ৯টা উইকেট। আর নিউ জিল্যান্ড (New Zealand) কে করতে হবে ২৮০ রান। পিচের যা অবস্থা, আর প্রথম ইনিংসে অশ্বিন-অক্ষররা যেভাবে কিউই ব্যাটারদের চোখে সর্ষেফুল দেখিয়েছেন তাতে কিউইদের জিততে হলে অবিশ্বাস্য কিছু করে দেখাতে হবে। এই টেস্টে অবশ্য বারবার পেন্ডুলামের মত একবার এদিক, তো আরেকবার ওদিকে ঘুরেছে ম্যাচ। আজ, যেমন দিনের শুরুতেই টপ অর্ডারের সব ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া পরপর আউট হন মায়াঙ্ক আগরওয়াল (১৭), চেতেশ্বর পূজারা (২২), আজিঙ্কা রাহানে (৪), রবীন্দ্র জাদেজা (০)।
৫১ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে একেবারে চাপে পড়ে যায় ভারত। লিড তখন মাত্র ১০০ রানের। সেখান থেকেই প্রথমে অশ্বিনকে নিয়ে, তারপর ঋদ্ধিমান সাহার সঙ্গে লড়ে দলকে উদ্ধার করেন শ্রেয়স আইয়ার। অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি ও হাফ সেঞ্চুরি করা প্রথম ভারতীয় হলেন শ্রেয়স। তবে শ্রেয়সকেও যেন ছাপিয়ে গেল ঋদ্ধিমান সাহার ৬১ রানের অপরাজিত ইনিংস। প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে ব্যর্থ, চোট পেয়ে বাইরে যাওয়ার পর ঋদ্ধিমান পরের টেস্টে সুযোগ পাবেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। সেখান থেকে ঋদ্ধি চেনালেন কেন তিনি ফাইটার হিসেবে থেকে যাবেন।
অক্ষর প্যাটলকে নিয়ে অষ্টম উইকেটে ঋদ্ধি যোগ করেন অতি গুরুত্বপূর্ণ ৬৭ রান। তার আগে সপ্তম উইকেটে শ্রেয়স-ঋদ্ধি যোগ করেন ৬৪ রান। ঋদ্ধি যখন নেমেছিলেন তখন ভারতের স্কোর ছিল ৬ উইকেটে ১০৩ রান। আর তিনি যখন অপরাজিত অবস্থায় মাঠ ছাড়লেন তখন ভারতের স্কোর ৭ উইকেটে ২৩৪ রান। দিনের শেষে বেশ ভাল জায়গায় ভারত।